ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষের এক সপ্তাহ আগে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ করেছিল আমেরিকান কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার। সেখানেই চূড়ান্ত হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভাগ্য’। সেনেটে প্রস্তাবটি পাশ হলে ট্রাম্পের পক্ষে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়াই করা সম্ভব হবে না।
সেনেটে ‘ভাগ্য পরীক্ষার’ আগে তাই চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ট্রাম্প শিবিরে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি আমেরিকার প্রথম সারির একঝাঁক আইনজীবী সহায়তা করছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দক্ষিণ ক্যারোলিনার নামী কৌঁসুলি বাচ বোয়ার্স। তিনিই সেনেটে ট্রাম্পের হয়ে সওয়াল করবেন। জর্জ ডব্লিউ বুশের জমানায় আমেরিকার বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী বোয়ার্সের রিপাবলিকান শিবিরে যথেষ্ট ‘প্রভাব’ রয়েছে বলে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম নিজেই ট্রাম্প শিবিরের আইনি ও রাজনৈতিক তৎপরতা তত্ত্বাবধান করছেন। জল্পনা ছিল ওই সেখানকার প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল চার্লি কন্ডনও যোগ দেবেন ট্রাম্প শিবিরে। কিন্তু মঙ্গলবার এমন সম্ভাবনা খারিজ করেছেন তিনি।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার জেরেই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এসেছে কংগ্রেসে। আমেরিকার সেনেটের সদস্য সংখ্যা ১০০। এর মধ্যে দুই দলহীন-সহ ডেমোক্র্যাট শিবিরের ৫০ জন রয়েছেন। রয়েছেন ৫০ জন রিপাবলিকানও। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ করাতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৬৭ জনের সমর্থন প্রয়োজন। ট্রাম্পের শিবিরের কৌশল, আইনি যুক্তির জালে রিপাবলিকান শিবিরকে প্রভাবিত করে প্রস্তাব আটকানো।
পদের অপব্যবহার করে ইউক্রেনের উপর বেআইনি ভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে ২০১৯ সালে ট্রাম্পকে ইমপিচ করেছিল হাইস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস। কিন্তু সেনেটে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। এ বারও তেমন ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হবে বলে ট্রাম্প শিবির আশাবাদী।