পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
আদিয়ালা জেল থেকেই পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়কের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর তরফে বুধবার এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, লাহোর, মিয়াঁওয়ালি এবং ইসলামাবাদের তিনটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
গত অগস্টে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় তিন বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পরেই ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর পর ইসলামাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়ে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলা চলায় তিনি মুক্তি পাননি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ বজায় রাখতে পিটিআইয়ের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন পরিচালনকারী শীর্ষ সংস্থা ‘ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান’ (ইসিপি)।
তার পরে চলতি মাসের গোড়ায় পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইমরান ঘনিষ্ঠ নেতা গোহর আলি খান। পাশাপাশি পিটিআইয়ের সাংগঠনিক বৈঠকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে নির্বাচিত হন ওমর আয়ুব খান। ১৯৯৬ সালে পিটিআই তৈরির পরে এই প্রথম বার ইমরানের পরিবর্তে অন্য কাউকে নির্বাচিত করা হয় দলীয় চেয়ারম্যান হিসাবে। ফলে শেষ পর্যন্ত পিটিআই নেতৃত্ব ইমরানের ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ইমরানের আইনজীবী তথা পিটিআই নেতা আলি জাফর বুধবার বলেন, ‘‘তোশাখানা মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইমরানের আবেদনের ওপর ইসলামাবাদ হাই কোর্ট দ্রুত রায় ঘোষণা করবেন বলে আমরা আশা করছি। রায় ইমরানের পক্ষে গেলে ভোটে লড়তে কোনও বাধা থাকবে না।’’ ইমরান ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি। পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান গোহর বলেন, ‘‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ চাইলে আমাদের খানসাহেব অবশ্যই এই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’’ প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র নির্বাচন। ইমরান জেলে থাকলেও তাঁর দল পিটিআই ভোটে অংশ নিচ্ছে।