ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন বাতিল করায় পার্লামেন্টের আসন্ন নির্বাচনে লড়তে পারবেন না তিনি। তাঁর দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর বহু প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু পাকিস্তানে ভোটের আগে জনমত সমীক্ষায় এখন এগিয়ে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।
কয়েক মাস আগে আমেরিকার একটি জনমত সমীক্ষা সংস্থা পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল। তার ফল বলছে, ৩৮ শতাংশ পাকিস্তানি ভোটদাতার পছন্দের দল পিটিআই। প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ ও শাহবাজ শরিফের দল ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১৮ শতাংশ পাক ভোটদাতা।
এ ছা়ড়া নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টি’ (পিপিপি) ১৫ শতাংশ, তেহরিক-ই-লব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) ১০ শতাংশ, জামাতে ইসলামি (জেআই) ৯ শতাংশ এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)-র প্রতি ৬ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে বলে ওই জনমত সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। ওই সমীক্ষায় ‘পছন্দের প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে ৬০ শতাংশ ভোটার ইমরানের নাম করেছিলেন। নওয়াজের প্রতি সমর্থন ছিল ৩৬ শতাংশ পাক ভোটারের।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ এবং প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন। ইমরান জেলে থাকলেও তাঁর দল পিটিআই ভোটে অংশ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নভেম্বরে। ওএসএ মামলার কারণে ইমরান মুক্তি না পাওয়ায় নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ বজায় রাখতে পিটিআইয়ের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পাক নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ মেনে গত ডিসেম্বরে পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইমরান ঘনিষ্ঠ নেতা গোহর আলি খান। এর পরে গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের মামলায় পাক সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিলেও কমিশন বাতিল করেছে ইমরানের মনোনয়ন।