(বাঁ দিক থেকে) রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল এবং নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহে তাঁর দল জেডিইউ-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এ বার বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র আহ্বায়ক পদে দেখা যেতে পারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। চলতি সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জেডিইউ-এর একটি সূত্র জানাচ্ছে।
ওই সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেসের তরফে এ বিষয়ে সম্মতি মিলেছে। মঙ্গলবার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং নীতীশের আলোচনাও হয়েছে। পৃথক ভাবে শিবসেনা(ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেছেন নীতীশ। অন্য দিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল আগে নীতীশের নামে সম্মতি দিয়েছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লালু-পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বুধবার ‘ইন্ডিয়া’র আসন্ন ভার্চুয়াল বৈঠকে নীতীশের দায়িত্ব বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে।’’ সূত্রের খবর, জোটের আহ্বায়ক হিসাবে সমন্বয় রক্ষার মূল দায়িত্বে থাকবেন নীতীশ।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট তৈরি করতে নীতীশই গত বছরের গোড়ায় প্রথমে দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, বাম-সহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কলকাতায় এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। গত ২৩ জুন নীতীশের আয়োজনেই পটনায় ১৫টি বিজেপি-বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের দিকনির্দেশ খুঁজতে প্রথম বৈঠক করেছিলেন।
বস্তুত, তখন থেকেই জল্পনা চলছিল, নীতীশকে বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়কের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। পটনাতেই ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম বৈঠক হয়। কিন্তু তার পরে বেঙ্গালুরু, মুম্বই এবং দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হলেও এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বরং প্রতিটি বৈঠকের পরেই নীতীশ ক্ষুব্ধ কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে , নীতীশকে ‘ইন্ডিয়া’র আহ্বায়ক পদে দেখা গেলেও তাঁকে ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। ডিসেম্বরে দিল্লির বৈঠকে মমতা-কেজরীওয়ালদের প্রস্তাব কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে নিজেই নাকচ করে দেওয়ার পরে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও জানিয়েছেন, বিরোধী জোটে কোনও ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ থাকার দরকার নেই।