Al-Qadir Trust case

ইমরান খানের ১৪ বছর জেলের সাজা! প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন?

ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও এই মামলায় দোষী হিসাবে চিহ্নিত করেছে আদালত। তাঁর সাত বছরের জেল হয়েছে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৯
ইমরান খান।

ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।

দু’বছর আগে এই মামলাতেই জামিন নিতে গিয়ে আদালত চত্বরে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার পাক দুর্নীতি দমন আদালত সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইমরান খানকে সেই আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর জেলের সাজা দিল।

Advertisement

ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও এই মামলায় দোষী হিসাবে চিহ্নিত করেছে আদালত। তাঁর সাত বছরের জেল হয়েছে। পাশাপাশি ইমরানের ১০ লক্ষ এবং বুশরার ৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। আদিয়ালা জেলে (ইমরান বর্তমানে এখানেই বন্দি)- এজলাসে রায় ঘোষণার পরেই বুশরাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলায় আদালত চত্বর থেকে ইমরানের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলেছিলেন। এর পরে লাহৌর হাই কোর্ট ইমরানের জামিনের আর্জিও মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পিটিআই প্রধান জেল থেকে মুক্তি পাননি।

প্রসঙ্গত, আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে ১৯ কোটি ডলার (প্রায় ১৬৪৫ কোটি হাজার কোটি ভারতীয় টাকা) তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ইমরান, তাঁর স্ত্রী বুশরার বিরুদ্ধে। পাক তদন্তকারী সংস্থা ‘ন্যাব’ (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো) এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ছিল। ২০২৩ সালের ১ মে ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল তারা। তার পরেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছিল।

Advertisement
আরও পড়ুন