Bangladesh Flood

বন্যার জল নামতে শুরু করলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বাংলাদেশে, নতুন সঙ্কট শুকনো খাবার, পানীয় জল

‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার এবং পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় আবার স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারছেন না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৪ ১১:৪৩
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ছবি: রয়টার্স।

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ছবি: রয়টার্স।

বৃষ্টি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি বাংলাদেশে। কোনও জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও ফেণী, নোয়াখালি এবং কুমিল্লার অনেক উপজেলায় পরিস্থিতি খারাপ।

Advertisement

‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার এবং পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় আবার স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারছেন না। সরকারি হিসাবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে চট্টগ্রামে ৫, কুমিল্লায় ৪, নোয়াখালিতে ৩, কক্সবাজারে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেণী এবং লক্ষ্মীপুরে এক জন করে মারা গিয়েছেন।

দুর্যাগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০ অগস্ট থেকে শনিবার পর্যন্ত দেশের ১১টি জেলা বন্যার কবলে। সেগুলি হল ফেণী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালি, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার। মোট ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯০১টি পরিবার জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫১ লক্ষ মানুষ। বন্যকবলিত জেলাগুলিতে যে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে, সেখানে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেণী, চট্টগ্রাম এবং খাগড়াগাছিতে বন্যার্তদের নিরলস ভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফেণীর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম জেলার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, শনিবার ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও এক লক্ষ মানুষ এখনও বাড়িতে আটকে রয়েছেন। খাবার এবং পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে সেখানে। অন্য দিকে, বুড়িচংয়েও বন্যার কবলে ১০৫টি গ্রাম। প্রায় দু’লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানেও খাবার এবং পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

নোয়াখালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় তেমন বৃষ্টি হয়নি। ফলে কয়েকটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অন্য দিকে, আবার সেনবাগ, সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে মোট ৩ হাজার ৫১৩টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন