Tehrik-i-Taliban

শান্তি বৈঠক ভেস্তে যেতেই লড়াই শুরু পাকিস্তানে! চার তেহরিক-ই-তালিবান যোদ্ধা, পাঁচ সেনা নিহত

সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া সেনা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে নতুন করে সন্ত্রাস দমন অভিযানের শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১৪
ফের তালিবান দমন অভিযানে পাক সেনা।

ফের তালিবান দমন অভিযানে পাক সেনা। ফাইল চিত্র।

তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যেতেই অশান্তির আঁচ পাকিস্তানে। আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) গোষ্ঠীর হামলায় সোমবার গভীর রাতে অন্তত পাঁচ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। পাক সেনার দাবি, বোয়া এলাকায় অভিযান চলাকালীন সেনার পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছেন চার জন টিটিপি যোদ্ধাও।

টিটিপি বুধবার অভিযোগ করেছে, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাক সেনা একতরফা ভাবে অভিযান শুরু করার ফলেই নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে টিটিপির সঙ্গে ইসলামাবাদে কাবুলে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। তার পরেই আফগান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার-পাখতুনখোয়া নতুন করে অভিযান শুরু করে পাক সেনা। আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান রহমতউল্লা নবিলের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে আফিগানিস্তানের মাটিতেও তালিবান বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে পাক ফৌজ। ঘটনার জেরে বুধবার থেকে খাইবার-পাখতুনখোয়া জুড়ে নতুন করে অভিযানে নেমেছে পাক সেনা। সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিমানবাহিনীর ড্রোন এবং হেলিকপ্টারও।

Advertisement

চলতি মাসেই টিটিপির সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছিল পাক সেনা এবং শাহবাজ শরিফের সরকার। ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠ আফগান তালিবান নেতা তথা আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানি এই শান্তি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। এর আগে জুন মাসেও কাবুলে দু’পক্ষের শান্তি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে তিন মাসের সংঘর্ষ বিরতি নিয়েও দু’তরফের আলোচনা হয়েছিল।

কিন্তু সম্প্রতি পাক সেনার তরফে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।পাক সংবাদপত্র দ্য ডনের দাবি, সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া ২৫০ নম্বর কোরের কমান্ডার এবং অন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে নতুন করে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন’। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকায় সক্রিয় তালিবানের আর এক গোষ্ঠী ‘তেহরিক-ই নিফাজ-ই শরিয়তি মহম্মদি’ (টিএনএসএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে হক্কানিদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে।

আফগান সীমান্ত লাগোয়া উত্তর এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কার্যত একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ রয়েছে টিটিপির। বালুচিস্তান প্রদেশের উত্তরাংশেও তাদের প্রভাব রয়েছে। আফগানিস্তানের খোস্ত ও কুনার প্রদেশে প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে এই গোষ্ঠীর। আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গিনেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত টিটিপি বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা। এর আগে ২০০৯ সালে টিটিপি-র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ চালিয়েছিল পাক সেনা। কিন্তু সেই অভিযানে প্রত্যাশিত সাফল্য মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement