— প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তানে চিনা নাগরিকদের গাড়ি লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। নিহত হয়েছেন পাঁচ চিনা নাগরিক এবং তাঁদের গাড়ির চালক। ওই চালক স্থানীয়। মঙ্গলবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। পাকিস্তানে চিনের নাগরিকদের উপর হামলা এই প্রথম নয়।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আলি গান্দাপুর পাঁচ চিনা নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চালকের মৃত্যুর কথাও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা গিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার দাসুতে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ করাচ্ছে চিনের গেঝুবা গোষ্ঠী। সেখানে যাঁরা কাজ করছিলেন, বেশির ভাগই বিদেশি। মূলত চিনের নাগরিক। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ থেকে গাড়িতে চেপে দাসুতে নিজেদের শিবিরের দিকে যাচ্ছিলেন চিনা ইঞ্জিনিয়ারেরা। বেশাম শহরের কাছে সেই কনভয়ের মাঝে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরকবোঝাই একটি গাড়ি। পুলিশ আধিকারিক গান্দাপুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কনভয়ের বাকি গাড়িগুলিকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়।
পাকিস্তানে পরিকাঠামো উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ রয়েছে চিনের। রাস্তা এবং বাঁধ নির্মাণেও সাহায্য করছে বেজিং। যদিও পাকিস্তানে বার বার হামলার শিকার হয়েছে চিনেরা নাগরিকেরা। ২০২১ সালে এই দাসুতেই এক বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ন’জন ছিলেন চিনা নাগরিক। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের ওই এলাকায় বাঁধ নির্মাণস্থলে বাসে চেপে কাজে যাচ্ছিলেন কর্মীরা। সেই বাস লক্ষ্য করেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
চিনা নাগরিকদের কনভয়ে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই সোমবার পাকিস্তানের নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা করে সশস্ত্র জঙ্গিরা। বালুচিস্তানের তুরবাটে পিএনএস সিদ্দিকি নামের নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটি। হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে বিদ্রোহী বালোচ সংগঠন বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র মজিদ ব্রিগেড। ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত এক জন আধাসেনা জওয়ান। পাল্টা নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।