Balochistan Attack

গ্বদরের পর এ বার পাকিস্তানের নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা, দায় স্বীকার করল বালোচ বিদ্রোহীরা

‘দ্য ডন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওই নৌঘাঁটি থেকে ১২ বার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। গত ২০ মার্চ পাকিস্তানের গ্বদর বন্দরে হামলার ঘটনাতেও দায় স্বীকার করেছিল বিএলএ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৩:২৬
Baloch insurgents attack Pakistan naval base, one soldier dead and four militants killed

হামলার পর পাক নৌঘাঁটির অবস্থা। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে নৌঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল বালোচ বিদ্রোহীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার বালুচিস্তানের তুরবাটে পিএনএস সিদ্দিকি নামের নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। এটি সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটি। হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় বিদ্রোহী বালোচ সংগঠন বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র মজিদ ব্রিগেড।

Advertisement

‘বালুচিস্তান পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বিএলএ দাবি করেছে যে, তাদের যোদ্ধারা নৌসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালিয়ে ‘এক ডজন’-এরও বেশি পাক আধিকারিককে হত্যা করেছে। তবে পাকিস্তানের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, হামলার জেরে বালুচিস্তান ফ্রন্টিয়ার কর্পসের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বিএলএ-র দাবি, তাদের হামলায় বেশ কয়েকটি জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাক সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের হামলায় বিএলএ-র চার জন সশস্ত্র যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সোমবার রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ওই নৌঘাঁটি থেকে প্রায় ১২ বার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। গত ২০ মার্চ বন্দর শহর গ্বদরে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল। তারও আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বালুচিস্তানের মাচ শহরে হামলা হয়েছিল। প্রতিটি হামলারই দায় স্বীকার করেছিল বিদ্রোহী বালোচ সংগঠন বিএলএ।

পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া ওই রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে ঢুকেছে পাকিস্তানে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দরে।

ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে ‘বালোচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ), ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ)-র মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ। এমনকি, সম্প্রতি গ্বদর উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরাও চিনাদের আপত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে দীর্ঘ দিন ধরেই সশস্ত্র লড়াই চালাচ্ছে স্বাধীনতাপন্থী বালোচ সংগঠনগুলি। গত বছর বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় বড় হামলা চালিয়েছিল বিএলএ।

আরও পড়ুন
Advertisement