গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
টানা ১৮ দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালালেও এখনও পর্যন্ত গাজ়া ভূখণ্ডে ঢুকে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ চালায়নি ইজ়রায়েল সেনা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, বিশ্বখ্যাত মেরকাভা মার্ক-৪ ট্যাঙ্ক রুখতে হামাসের নয়া অস্ত্রের ভয়েই বুঝেশুনে গাজ়ায় পা ফেলতে চাইছে তেল আভিভ।
গত সপ্তাহেই হামাসের তরফে সেই নয়া অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে। তাতে দেখা গিয়েছে সাধারণ একটি হেক্সাড্রোনে ঝোলানো হয়েছে রুশ আরপিজি-৭ (এক ধরনের রকেট লঞ্চার)-এ ব্যবহারযোগ্য একটি রকেট। এর পর উড়ন্ত ওই ড্রোন একটি মেরকাভা ট্যাঙ্কের উপরে উড়ে গিয়ে নিখুঁত লক্ষ্যে তার উপর রকেটটি নিক্ষেপ করছে। আর সেই বিস্ফোরণের অভিঘাতে চুরমার হয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েল ‘মেন ব্যাটল ট্যাঙ্কের’ উপরের অংশ।
হামাসের মাত্র কয়েকশো ডলারে ‘অস্ত্রে’র অভিঘাতে প্রায় ১ কোটি ডলারের (প্রায় ৮৩ কোটি টাকা) মেরকাভা মার্ক-৪ ট্যাঙ্কের এই ‘পরিণতি’ চমকে দিয়েছে অনেককেই। হামাসের তৈরি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের জালের পাশাপাশি, গাজ়ায় ঢুকে ইজ়রায়েল ফৌজের স্থলপথে অভিযান শুরু না হওয়ার ‘কারণ’ হিসাবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের আলোচনায় তাই উঠে আসছে ড্রোনবাহিত রকেটের প্রসঙ্গও।
তাঁরা জানাচ্ছেন, অত্যন্ত সস্তার এই ড্রোন নিচু দিয়ে উড়তে সক্ষম। ফলে ইজ়রায়েলি রাডারের নজরদারি এড়িয়ে হামাস যোদ্ধারা অনায়াসেই আঘাত হানতে পারে অগ্রবর্তী ট্যাঙ্কবহরের উপর। বিপুল সামরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাই হামাসের ডেরায় ঢুকে অভিযান চালাতে ইজ়রায়েলি সেনা দ্বিধায় রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।