(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
নির্বাচনের প্রচারপর্বে ফিলাডেলফিয়ায় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে (মুখোমুখি বিতর্কে) তিনি বলেছিলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।’’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার ১০ দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের আয়োজন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
ফ্লরিডার পাম বিচে মার-এ-লাগো রিসর্টে রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈঠকের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করাই যে তাঁর লক্ষ্য, সে কথাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অবশ্যই ওই যুদ্ধের অবসান ঘটাব।’’ তবে পুতিনের সঙ্গে কবে, কোথায় তিনি বৈঠক করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ট্রাম্প।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় কিভের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার পর গত ৩৫ মাস ধরে ‘ডেভিড বনাম গালিয়াথের লড়াই’ চলছে ইউরোপের মাটিতে। গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রবীণ রিপাবলিকান নেতার জয়ের পর যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। কারণ, ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ব্যক্তিগত সমীকরণ।
জো বাইডেনের জমানায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার নীতিকে বারে বারেই সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ভোটের প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি জিতলে যুদ্ধ জিইয়ে রাখার নীতিতে ইতি টানবেন। ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিও কিছু দিন আগে দাবি করেছিলেন, ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিলে দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি ঘটবে। সে দেশের সংবাদমাধ্যম সাসপিলনেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, এ বার যিনি হোয়াইট হাউসকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, তাঁর নীতি মেনে দ্রুত যুদ্ধ শেষ হবে।’’ টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের মধ্যস্থতায় টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ এসেছে বলেও জানিয়েছিলেন জ়েলেনস্কি।