সেদিন তাঁরা পাশাপাশি, ইমরান এবং বাজওয়া। ফাইল চিত্র।
অতীতের মতো এ বার সরাসরি সেনা অভ্যুত্থান দেখেনি পাকিস্তান। দেশ জুড়ে প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দেখা যায়নি উর্দিধারীদের দাপাদাপি। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিদায় স্পষ্ট হতেই নতুন করে আলোচনায় চলে আসছে ‘পাক ফৌজের নেপথ্য ভূমিকা’।
পাক সেনার তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলতি রাজনৈতিক টানাপড়েনের অংশীদার হবে না তারা। পাক সেনার ‘ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস’ (আইসিপিআর)-এর ডিরেক্টর মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার সোমবার বলেন, ‘‘স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছি, বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সেনার কোনও ভূমিকা নেই।’’
যদিও গুঞ্জন তাতে থামছে না। ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান সেনাপ্রধান পদে কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ দ্বিতীয় বার বাড়াতে গররাজি হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের তৎপরতা বেড়েছে। বস্তুত, গত দু’সপ্তাহে যে ভাবে একের পর এক সহযোগী দল ইমরানের ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর সঙ্গ ছেড়েছে, পাক ফৌজের ‘ভূমিকা’ ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ঘটনাচক্রে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের সময় ইমরানের দলকে খোলাখুলি মদত জুগিয়েছিল পাক সেনা। তা নিয়ে সে সময় পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টির মতো দলগুলি প্রকাশ্যে অভিযোগও জানিয়েছিল।
২০১৬-র নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন জেনারেল বাজওয়া। ২০১৯-এর অগস্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান পদে তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। আগামী নভেম্বরে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। সূত্রের খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ডিজি পদে নিয়োগ ঘিরে মতবিরোধের জেরে বাজওয়ার মেয়াদ দ্বিতীয় বার না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরান।
প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সুপারিশে ২০১৮-র জুনে আইএসআই-এর ডিজি পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদকে নিয়োগ করেছিলেন জেনারেল বাজওয়া। গত নভেম্বরে তিনি হামিদকে সরিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থার দায়িত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ অঞ্জুমকে। যদিও ইমরান চেয়েছিলেন হামিদকে বহাল রাখতে। পরে একটি সাক্ষাৎকারে আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে বাজওয়ার সঙ্গে তাঁর মতবিরোধের কথা স্বীকারও করেছিলেন ইম