গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ক্ষমতায় থেকে, সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনওই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানালেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাজধানী ঢাকায় নতুন দলের নাম ঘোষণা করা হবে। নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা তথা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম পেতে চলেছেন বলে বৃহস্পতিবার সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়। তার পরেই এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলের মহাসচিব।
ইউনূস সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ব্যবস্থা না নিলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের উপর আছে, সেই আস্থা আপনাদের উপর আর থাকবে না।’’ কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেছিলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে না। তখন আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’’ বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কেন ওই কথা বলেছিলাম, এখন তার প্রমাণ মিলছে।’’
প্রসঙ্গত, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থার মদতে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চলছে বলে প্রাক্তন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি দাবি করেছিলেন কয়েক মাস আগেই। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে নতুন দলের সাধারণ সচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে বেছে নেওয়া হতে চলেছে। মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্র পদের জন্য আলোচনায় আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক, সারজিস আলম (যিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা) হাসনাত আবদুল্লা। এ ছাড়া, ইউনূস সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আরও কয়েক জন ছাত্রনেতা নতুন দলে শামিল হতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে।