Bangladesh Protest

সুনসান ঢাকার রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা, বন্ধ ইন্টারনেট, কেমন আছে বাংলাদেশ? কার্ফু চলবে আর কত দিন?

শুক্রবার রাতে বাংলাদেশে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার রাস্তা সুনসান। দু’ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১৩:০৩
বাংলাদেশের রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা।

বাংলাদেশের রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা। ছবি: রয়টার্স।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝে শুক্রবার দেশ জুড়ে কার্ফু ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। শনিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার চেহারা বদলে গিয়েছে। রাস্তাঘাট সুনসান। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে বাংলাদেশি সেনা। কার্ফুর মাঝে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউ। ফলে গত কয়েক দিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে যে ছাত্রবিক্ষোভ চলছিল বাংলাদেশ জুড়ে, শনিবার তার ছবি কিছুটা হলেও বদলে গিয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্ফু চলবে। তার পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

Advertisement

বাংলাদেশে গত বৃহস্পতিবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। যার জেরে গোটা বিশ্বের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটি। শুক্রবার সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভের ঝাঁজ আরও বেড়ে গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। শুক্রবার রাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি করা হয়। পুলিশ শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে নামানো হয় সেনা। দেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাসিনা স্পেন এবং ব্রাজিল সফর বাতিল করেছেন।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ঢাকার রাস্তায় কোনও জমায়েত দেখা যায়নি। সেনার টহলে সুনসান রাস্তাঘাট। বেলা ১২টা নাগাদ কার্ফু কিছুটা শিথিল করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। ঘণ্টা দুয়েকের জন্য কার্ফু শিথিল হবে। ওই সময়ের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। অন্যান্য জরুরি কাজ থাকলে তা-ও মিটিয়ে ফেলতে হবে দু’ঘণ্টার মধ্যে।

রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্ফু চলবে বাংলাদেশে। তার পর দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে সরকার। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

শুক্রবার পর্যন্ত ছাত্রবিক্ষোভে রীতিমতো উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ২৭টি মৃতদেহ এসেছে বলে খবর।

বাংলাদেশে প্রচলিত সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে পথে নেমেছেন ছাত্রেরা। গত কয়েক দিনে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। আদালতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে রবিবার।

আরও পড়ুন
Advertisement