আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। — ফাইল চিত্র।
গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি সেনার অবরোধ এবং হামলা চলতে থাকলে প্রত্যাঘাত করবে মুসলিম বিশ্ব। মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। গাজ়া ভূখণ্ডে যুদ্ধের একাদশতম দিনে মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বক্তৃতায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্যালেস্তিনীয় জনতার বিরুদ্ধে ইহুদি শাসকদের অত্যাচার অব্যাহত থাকলে কেউ মুসলিম বিশ্বের প্রতিরোধ শক্তির মোকাবিলা করতে পারবে না। গাজ়ায় বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’’
গাজ়া সীমান্তে হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড এবং ইজ়রায়েলি সেনার সংঘর্ষের চতুর্থ দিনে, গত ১০ অক্টোবর প্রথম ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে বক্তৃতা করেছিলেন খোমেইনি। তিনি ইজ়রায়েলে হামলাকারী হামাস বাহিনীকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘প্যালেস্তাইনবাসীর জন্য আমি গর্বিত।’’
তবে সেই সঙ্গেই তিনি দাবি করেছিলেন, ৭ অক্টোবরের ভোরে গাজ়া সীমান্তবর্তী ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের ধারাবাহিক রকেট হামলায় ইরানের কোনও মদত নেই। এ বার সরাসরি ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমেরিকা জানিয়েছিল, ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধে তেহরান জড়ালে তার পরিণাম খারাপ হবে।
ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া সশস্ত্র বাহিনী হিজ়বুল্লার সঙ্গে ইতিমধ্যেই লেবানন সীমান্তে ইজ়রায়েল ফৌজের লড়াই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে লেবানন সীমান্ত পেরিয়ে ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালাতে গিয়ে চার জন হিজ়বুল্লা যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে তেল আভিভের দাবি। এই পরিস্থিতিতে খোমেইনির মুখে ‘মুসলিম বিশ্বের প্রত্যাঘাতের’ হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান সোমবার ইজ়রায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ইহুদি আগ্রাসন বন্ধ না হলে ওই এলাকায় আমাদের সকলের বন্দুক তাক করা আছে।’’ এ বার সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার মুখে শোনা গেল একই হুমকি।