Arrest

ডিম চুরির সন্দেহে নাবালিকাকে জলে ডুবিয়ে রেখে মারধরের অভিযোগ শান্তিপুরে

হাঁসের ডিম চুরির সন্দেহে তাকে সুভাষ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি-সহ বেশ কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মারের পরে জলে চুবিয়েও রাখা হয় কিশোরীকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:১৭
হাঁসের ডিম চুরির সন্দেহে কিশোরীকে সুভাষ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি-সহ বেশ কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ।

হাঁসের ডিম চুরির সন্দেহে কিশোরীকে সুভাষ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি-সহ বেশ কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

হাঁসের ডিম চুরি করেছে— এই সন্দেহে এক নাবালিকাকে মারধর করার পাশাপাশি জলে চুবিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল নদিয়ার শান্তিপুরে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

অন্যান্য দিনের মতো দুপুরে বাড়ির সামনে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল বছর দশেকের এক নাবালিকা। ওই সময়েই হাঁসের ডিম চুরির সন্দেহে তাকে সুভাষ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি-সহ বেশ কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মারের পরে জলে চুবিয়েও রাখা হয় কিশোরীকে। এই ঘটনার পরে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে। তদন্তে নেমে পুলিশ মূল অভিযুক্ত সুভাষকে গ্রেফতার করে।

নাবালিকার ঠাকুমার অভিযোগ, বাড়ির কাছের পুকুরে নাতনি রোজই স্নান করতে যায়। পুকুর থেকে একটা-দুটো হাঁসের ডিম নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবারও তা-ই করেছিল। তবে বাড়ি থেকে ডিম চুরি করেছে ভেবে নাবালিকাকে জলে চুবিয়ে রেখে মারধর করেন বেশ কয়েক জন। ধৃত সুভাষের দাবি, তাঁর বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যেই ডিম চুরি করত ওই কিশোরী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাড়ি শান্তিপুর থানার ঢাকা পাড়া-১ রামগোপাল এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ স্নান করতে গিয়েছিল সে। তখনই মারধরের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, নাতনিকে জলে চুবিয়ে রাখার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন নাবালিকার ঠাকুমা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসার পরেও সুভাষের স্ত্রী বাড়িতে চড়াও হয়ে কিশোরীকে আবার মারধর করেন বলে অভিযোগ। দাবি, নাবালিকার মুখে ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।

স্থানীয় হাসপাতালে নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন