দূষণ কমল দিল্লিতে। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার বৃষ্টির তেজ বেশি। যার ফলে রাজধানীর বাতাসের গুণগতমান কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণের মাত্রা কমতেই দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর এলাকায় কড়া বিধিনিষেধ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩) শিখিল করল কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমেছে। সেই কারণে দিল্লি এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় জারি করা বিধিনিষেধ আপাতত শিথিল করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টি কারণেই দূষণ কমেছে রাজধানীতে।
অক্টোবরের শুরু থেকে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের ধমকের পরে চালু করা হয় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ (জিআরএপি-৪)। এর পর ডিসেম্বরে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমলে কড়া বিধি শিথিল করা হয়। এ বার ফের দিল্লিতে একিউআই ৪০০-র গণ্ডি ছাড়াল, যা ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ‘ভাল’ ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৫০০ ‘ভয়ানক’ বলে ধরা হয়। একিউআই ৪০০ ছাড়ালে গ্র্যাপ-৩ চালু করা হয়। সে সময় দিল্লি, এনসিআরে পাথর ভাঙা, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে চালু করা হয়। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে গ্র্যাপ-৪ চালু করা হয়। ভিন্রাজ্যের গাড়ি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না।