Israel-Hamas Conflict

ইজ়রায়েলি বোমায় বিকল বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, গাজ়ার হাসপাতালে মৃত্যুর মুখে ৪৫ সদ্যোজাত

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
গাজ়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৪
গাজ়ায় হাহাকার প্যালেস্টাইনিদের।

গাজ়ায় হাহাকার প্যালেস্টাইনিদের। ছবি: রয়টার্স।

ইজ়রায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতাল। শুক্রবারের ওই হামলার পরে বিকল হয়ে গিয়েছে জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৫টি শিশু কার্যত মৃত্যুর মুখে বলে স্বশাসনিত প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।

Advertisement

পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধম্যে প্রকাশিত খবর, ইতিমধ্যেই ইনকিউবেটর বিদ্যুতের অভাবে অন্তত একটি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সময়মতো অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপি (ক্যানসারে আক্রান্তদের) সম্ভব না-হওয়ায় আরও কয়েকটি শিশুও তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে।

বস্তুত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজ়া ভূখণ্ডে বিদুৎ সরবরাহ ছিন্ন করেছিল ইজ়রায়েলি সেনা। সেই পরিস্থিতিতে জেনারেটরের সাহায্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু ডিজেলের মজুত শেষ হতে বসায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছিল গাজ়ার হাসপাতালগুলিতে। ফলে ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীনদের বড় অংশের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর। আল-শিফা হাসপাতালে ইজ়রায়েলি সেনার হামলা সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করতে চলেছে বলে অভিযোগ।

যদিও এর মধ্যেও শনিবার দফায় দফায় গাজ়া স্থল এবং আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। শুক্রবার রাতে আল-রানতিসি শিশু হাসপাতালেও ইজ়রায়েলি সেনার ট্যাঙ্কের গোলা আছড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ নানা দেশ যুদ্ধ বিরতির আবেদন জানালেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা খারিজ করেছেন। গত ৩৬ দিনের ইজ়রায়েলি হানায় গাজ়ার ১১ হাজারেরও বেশি প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। তার অর্ধেকের বেশি মহিলা, শিশু! আহতদের সংখ্যা তার প্রায় দ্বিগুণ। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে গাজ়ায় অ্যাংলিকান গির্জার মালিকানাধীন আল–আহলি আল–আরবি হাসপাতালে ইজ়রায়েলি বোমায় বহু শিশু-সহ কয়েকশো রোগী নিহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement