village

ফ্ল্যাটের দামে আস্ত গ্রাম বিক্রি আছে, দু’কোটি টাকার জনপদে হোটেল, স্কুল সবই রয়েছে

ইচ্ছা হলে কিনতে পারেন আস্ত একটা গ্রাম। তা-ও একটা ফ্ল্যাটের দামে। সে গ্রামে রয়েছে স্কুল, গির্জা থেকে হোটেল, বাড়ি সবই।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মাদ্রিদ শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১৭
দু’লক্ষ ২৭ হাজার ইউরোতে বিক্রি করা হচ্ছে সেই গ্রাম।

দু’লক্ষ ২৭ হাজার ইউরোতে বিক্রি করা হচ্ছে সেই গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত।

এক চিলতে ফ্ল্যাট, বড়জোর একটা বাড়ি। এতটুকুই স্বপ্ন থাকে এই দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষের। তার মধ্যে বেশির ভাগেরই আবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। কখনও কি ভেবেছেন যে আস্ত একটা গ্রাম কিনে ফেলবেন? বড় শহরের ভাল ফ্ল্যাটের মতোই তার দাম। স্পেনের সেই আস্ত গ্রামের দাম দু’কোটির কিছু বেশি। চাইলে কিনতে পারবেন যে কেউ।

গত ৩০ বছর ধরে সে গ্রামে এক জনও বাস করেননি। এখন দু’লক্ষ ২৭ হাজার ইউরোতে বিক্রি করা হচ্ছে সেই গ্রাম। ভারতীয় মুদ্রায় দু’কোটি ১৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৩১ টাকা। সাল্টো দে কাস্ত্রো নামে ওই গ্রাম রয়েছে স্পেনের জামোরা প্রদেশে। পর্তুগাল সীমান্তের কাছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে গাড়িতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। পরিত্যক্ত এই গ্রামে রয়েছে ৪৪টি বাড়ি, একটি হোটেল, একটি গির্জা, একটি স্কুল, একটি সরকারি সুইংমিং পুল। গ্রামে রয়েছে একটি ছাউনি, যেখানে এক কালে থাকতেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

Advertisement

২০০০ সাল নাগাদ পরিত্যক্ত গ্রামটি কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। উদ্দেশ্য ছিল, সেখানে পর্যটনস্থল গড়ে তুলবেন। ২০০৯ সাল নাগাদ ইউরোপে থাবা বসায় আর্থিক মন্দা। যাকে বলা হয় ইউরোজোন ক্রাইসিস। বিনিয়োগ করতে চাইছিলেন না উদ্যোক্তারা। সে কারণে গ্রামের মালিকের পরিকল্পনা সফল হয়নি। এ বার সেই গ্রাম বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে একটি ওয়েবসাইটে। সেখানে লেখা হয়েছে, গ্রামটি কেনার পর আরও অন্তত ২০ লক্ষ ইউরো খরচ করতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি ৬৮ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৬৫ টাকা।

এখন পর্যন্ত বিজ্ঞাপনটি দেখেছেন ৫০ হাজার জন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, রাশিয়া থেকে প্রায় ৩০০ জন গ্রামটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক জন ক্রেতা আবার আগামও দিয়েছেন। ১৯৫০ সাল নাগাদ সাল্টো দে কাস্ত্রোর পাশে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জলাধার গড়ে তোলা হয়েছিল। নির্মাণকর্মীদের থাকার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল গ্রামটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ শেষ হলে আশির দশকে কর্মীরা ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। সেই থেকে পরিত্যক্ত ওই গ্রাম।

আরও পড়ুন
Advertisement