সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ঋতু ফোগত। ফোগত পরিবারের বাকিদের মতোই কুস্তিকে পেশা করেছিলেন তিনি। পরে মিক্সড মার্শাল আর্ট (এমএমএ)-এর পথে হেঁটেছিলেন গীতা ও ববিতার এই বোন। এ বার বিয়েটাও সেরে নিলেন হরিয়ানার খেলোয়াড় ঋতু।
প্রাক্তন কুস্তিগির মহাবীর সিংহ ফোগতের তৃতীয় কন্যা ঋতু। মহাবীর অলিম্পিকের কোচ ছিলেন। আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ তাঁর জীবনের ঘটনা নিয়ে তৈরি।
বাবার মতোই গীতা আর ববিতা, মহাবীরের এই দুই কন্যা কুস্তিকে নিজেদের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। তাতে সফলও হন দু’জনে। তুতো ভাই বিনেশ ফোগতও কুস্তিকেই পেশা বেছেছেন। সকলেই কমনওয়েলথ গেমসে জিতেছেন সোনা।
ঋতুর কেরিয়ারও কিন্তু শুরু হয়েছে কুস্তি দিয়েই। জাতীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে একের পর এক খেতাব জেতেন তিনি।
২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে ৪৮ কেজি বিভাগে সোনার পদক পেয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে প্রো রেসলিং লিগের সব থেকে দামি খেলোয়াড় ছিলেন ঋতু। ৩৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে জয়পুর নিনজাস।
২০১৭ সালে তেইশ অনুর্ত্তীর্ণ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোর পদক জিতেছিলেন। তার আগে কোনও ভারতীয় ওই পদক জেতেননি। সে বারও ৪৮ কেজি বিভাগেই অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে কুস্তি থেকে সরে মিক্সড মার্শাল আর্ট (এমএমএ)-এ যোগ দেন ঋতু।
১০টি ম্যাচ খেলে সাতটিতেই জয়ী। মাত্র তিনটিতে হেরেছেন। খেলার জগৎ ঋতুকে চেনে ‘ভারতীয় বাঘিনী’ নামে।
সেই ঋতু এ বার প্রবেশ করলেন নতুন জীবনে। বিয়ে করলেন সচিন ছিকারাকে।
পেশায় আইনজীবী সচিন। বিয়ের একাধিক ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ঋতু। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর দুই দিদি গীতা আর ববিতা।
টুইটারে বিয়ের ছবি পোস্ট করে ঋতু লিখেছেন, ‘‘তোমার স্ত্রী হতে পেরে আমি ভাগ্যবান। বাকি জীবন তোমার সঙ্গে কাটানোর জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আমি তোমায় ভালবাসি।’’