Donald Trump Assassination Attempt

ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষেছিল ইরান? গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল আগেই, তা-ও কেন হামলা এড়ানো গেল না!

শনিবারের হামলার নেপথ্যে ইরানের হাত রয়েছে কি না, নিশ্চিত নয় আমেরিকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে। যদিও ইরান যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১১:১৭
received intel of Iranian plot to assassinate Donald Trump

ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এ বারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনার নেপথ্যে কি ইরানের ‘ষড়যন্ত্র’? সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিন কয়েক আগে গোপন সূত্রে আমেরিকার গোয়েন্দারা খবর পেয়েছিলেন যে, ট্রাম্পকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে ইরান। আর তার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস। কিন্তু তার পরও এড়ানো যায়নি শনিবারের হামলা। তবে পেনসিলভেনিয়াতে ট্রাম্পের উপর হামলা চালানো তরুণ টমাস ম্যাথু ক্রুকের সঙ্গে ইরানের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

ট্রাম্পের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক যে ভাল নয়, তা সকলেই জানেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নিহত হয়েছিলেন ইরান সেনার জনপ্রিয় জেনারেল কাসেম সোলেমানি। সে সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। ইরানের দাবি, ট্রাম্পের নির্দেশেই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। সেই থেকেই ট্রাম্পকে হত্যা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান।

তবে শনিবারের হামলার নেপথ্যে ইরানের হাত রয়েছে কি না, নিশ্চিত নয় আমেরিকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে। যদিও ইরান যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের এক জন মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমাদের চোখে ট্রাম্প এক জন অপরাধী। তাঁর নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই অপরাধের জন্য তিনি শাস্তি পাবেন ঠিকই। কিন্তু সেটা আইনের পথে। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রাম্পকে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর ইরান।”

আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্তার দাবি, পেনসিলভেনিয়ার সভার আগে সিক্রেট সার্ভিসকে ইরানি হুমকির বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ট্রাম্পের নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরও হামলা কেন আটকানো গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি ট্রাম্পের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে।

পেনসিলভেনিয়ায় ভোটপ্রচারে বক্তৃতা দেওয়ার সময়েই আক্রান্ত হন ট্রাম্প। তাঁর মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ (১১৯ মিটার) দূরে একটি উঁচু ছাদ থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছুড়েছিলেন টমাস ক্রুক। কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় সেই গুলি। তবে ক্রুকের ছোড়া গুলিতে ট্রাম্পের দলের এক জন সমর্থক নিহত হন। সিক্রেট সার্ভিসের ছোড়া পাল্টা গুলিতে ক্রুকের মাথা উড়ে যায়। শনিবারের ঘটনার তদন্ত করছে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। যদিও এখনও পর্যন্ত এই হামলার নেপথ্যের কারণ জানতে পারেননি গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন
Advertisement