তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় আর বিপ্লব দেবের আইন চলবে না। উত্তর ভারতের বিজেপি নেতারা নাচাচ্ছেন ওই রাজ্যের মানুষকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে উৎখাত হবে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জমায়েত করে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখানোর জন্য শনিবার ত্রিপুরায় গ্রেফতার হন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার ত্রিপুরা গিয়েছেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা। সেখানেই তিনি বলেন,‘‘উত্তর ভারতের নেতারা ত্রিপুরার মানুষকে পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। এখানে আর বিপ্লব দেবের আইন চলবে না। আপনারা লিখে রাখুন ১৭ মাস পরে বিপ্লবের সরকার বিদায় নিচ্ছে।’’
সকাল থেকেই তৃণমূল নেতারা খোয়াই থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। ওসির ঘরে ধর্নায় বসেন অভিষেক। থানার বাইরে পাল্টা জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরা। বেশ কিছু ক্ষণ চলে সেই কর্মসূচি। এরই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলেন যুব তৃণমূল সাংসদ। বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি মহামারি আইন প্রয়োগ করা হয়, তা হলে বাইরে যে কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, কালো পতাকা দেখাচ্ছেন তাঁদেরকেও এই আইনের আওতায় আনা উচিত। এটা মঙ্গল গ্রহ নাকি? ভারতবর্ষের আইন চলবে না এ রাজ্যে?’’ তিনি আরও বলেন,‘‘এখানে জোর জবরদস্তি চালানো হচ্ছে। নৈরাজ্য, অরাজকতা চলছে ত্রিপুরা জুড়ে।’’
বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কথা বার বার বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। বিধানসভা ভোটের আগে ও পরে এ নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন তাঁরা। বাংলায় আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র বিপন্ন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রায়ই করতে দেখা গিয়েছে অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নড্ডা ও দিলীপ ঘোষদের। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সরব হয়েছেন। এ বার বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতেও একই সুর শোনা গেল অভিষেকের গলাতেও। তাঁর কথায়, ‘‘ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা এসেছি। এখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। শাসকের আইন নয়। আগামী নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হলেই তা সম্ভব হবে।’’