‘বিকৃত’ ওএমআর শিট যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। —ফাইল ছবি।
পরীক্ষার উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) মূল্যায়নে কিছু ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকছে কম্পিউটারের! তাই শুধু কম্পিউটারের উপর নির্ভর না করে, নিয়োগ দুর্নীতির অনেক ওএমআর শিট যাচাই করা হবে হাতে-কলমে। ‘বিকৃত’ ওএমআর শিট যাচাই করতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এসএসসি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে যাঁদের দু’এক বা তিন নম্বরের পার্থক্য রয়েছে তাঁদের উত্তরপত্র হাতে-কলমে মিলিয়ে দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে যান্ত্রিক পদ্ধতির মূল্যায়নকে সরিয়ে রাখা হবে। তাদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তরপত্র মিলিয়ে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ওএমআর শিটের মূল্যায়নে কিছু ত্রুটি থাকছে কম্পিউটারে!
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে কয়েক হাজার ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। পরে সেগুলি যাচাইয়ের জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসসি-কে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই ওএমআর শিটগুলি যাচাই করতে গিয়ে এসএসসি দেখেছে, কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ভুলের জন্যই উত্তরপত্রটি বাতিল করেছে কম্পিউটার। কোথাও আবার সামান্য ভুলের জন্য সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও নম্বর দেওয়া হয়নি। এই ত্রুটি সংশোধন করা হবে। এসএসসি-র মতে, এক বা দু’নম্বরের জন্য যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাঁরা যাতে বঞ্চিত না হন তাই সাদা চোখে মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা চলছে।
সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণিতে ৯৫২ জনের ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। এর মধ্যে ৬১৮ জনের ওএমআর শিট কারচুপি করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় এসএসসি। বাকি কয়েক জনের ওএমআর শিটের মূল্যায়নে গলদ লক্ষ করা গিয়েছে। গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা লক্ষ করা গিয়েছে। এখন সেগুলিই এসএসসি খতিয়ে দেখছে।