রাস্তায় পুলিশি নজরদারি। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘নবান্ন অভিযান’ রয়েছে। ওই একই দিনে ইউজিসি নেট পরীক্ষা। এই অবস্থায় নেট পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর রাজ্য পুলিশ। পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দিতে রাস্তায় মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী। রবিবার সমাজমাধ্যমে রাজ্য পুলিশের তরফে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশও আশ্বাস দিয়েছে, রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে।
সমাজমাধ্যমে রাজ্য পুলিশের তরফে লিখেছে, “আমাদের আশঙ্কা, এই কর্মসূচির কারণে অসংখ্য নেট পরীক্ষার্থী তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধায় পড়বেন। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ওই দিন রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে। কোনও রকম অসুবিধায় পড়লে পুলিশের সাহায্য নিন। আমরা নিশ্চিত করব যাতে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে নিজেদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন ইউজিসি নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় পরের দিনই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২১ অগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের কথা। তার মধ্যে ২৬ অগস্টের জন্মাষ্টমীর ছুটি থাকার কারণে ওই দিনের পরীক্ষা বদল করে ২৭ অগস্ট (মঙ্গলবার) নেওয়া হবে। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ওই একই দিনে আবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-নামে এক সংগঠনের ছাতার তলায় ‘নবান্ন অভিযান’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে নেট পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান আটকাতে আগেই হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। কিন্তু, ওই কর্মসূচির বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, ওই কর্মসূচিতে পুলিশি অনুমতি নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার ইউজিসি নেট পরীক্ষার বিষয়টিও আদালতের নজরে এনেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। রাজ্যের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, ওই কর্মসূচিতে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরগুলি অংশগ্রহণ করতে পারে। তার থেকে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিল রাজ্য। কিন্তু, কর্মসূচির বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি উচ্চ আদালত।