land acquisition

Bhangar Airport: ‘সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম হতে দেব না’, বিমানবন্দরের জন্য ভাঙড়ে জোর করে জমি নেবেন না মমতা

দমদমে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপর অত্যাধিক চাপ বেড়েছে। যে কারণে কাছাকাছি আরেকটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩৭
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

ভাঙড়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরের জন্য জোর করে জমি অধিগ্রহণের পথে হাঁটবে না রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেলে লখনউ রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে দেব না।’’

কেন্দ্রীয় অসমামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডে রবিবার অভিযোগ করেছিলেন, ভাঙড়ে বিমানবন্দর গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হাজার একর জমি লাগবে। বিমানবন্দর গড়ার জন্য বাড়িঘর সব ভেঙে ফেলব? সেটা কি সম্ভব? তৃতীয় রানওয়ে (কলকাতা বিমানবন্দরের) তো করে দেওয়া হয়েছে।’’

মালদহ, বালুরঘাট, অন্ডালে রাজ্য বিমানবন্দর গড়ে দিয়েছে বলে জানিয়ে মমতার মন্তব্য, ‘‘আমিও চাই জমি পাওয়া যাক। সম্ভব হলে জমি দেওয়া হবে। কিন্তু জোর করে কৃষকের জমি নেওয়া আমাদের নীতি নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে (জ্যোতিরাদিত্য) বলুন না জমি জোগাড় করে দিতে।’’ এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিমান মন্ত্রীর উদ্দেশে রাজনীতি না করার বার্তাও দেন তিনি।

Advertisement

সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দমদমে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপর অত্যাধিক চাপ বেড়েছে। যে কারণে কাছাকাছি আরেকটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে একসঙ্গে অনেকটা জমি পাওয়া যেতে পারে। যে কারণে ওই অঞ্চলে জমি দেখা হচ্ছে বলে সম্প্রতি নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল তৃণমূলের মুখপত্র।

সরকারি সূত্রের খবর, ভাঙড়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য তিন হাজার একরের বেশি জমির প্রয়োজন। ভাঙড়-২ ব্লকের ভোগালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাথমিক ভাবে ওই জমি অনুসন্ধানের সমীক্ষা শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বিমান যাতে নামতে পারে, তেমন প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে বিশিষ্ট বিমানবন্দর তৈরির জন্য জমি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের মাথায় রয়েছে, বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে এক সঙ্গে অনেক বিমান রাখার বিষয়টিও।

মাছের ভেড়ি এবং ধানের জমির পাশাপাশি ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের বাস। ফলে জমি নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎ গ্রিড স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ ঘিরে অশান্তি ছড়িয়েছিল ভাঙড়ে।

Advertisement
আরও পড়ুন