প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বাংলা মাতবে বিশ্বকর্মা পুজোয়। সেই দিন আবার বিজেপির জন্য অন্য উৎসব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৪তম জন্মদিন। ওই দিন থেকে ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন পর্যন্ত বিজেপির উদ্যোগে সেবা পক্ষ পালিত হবে গোটা দেশে। সব রাজ্যেই ওই সময়ে স্বচ্ছতা অভিযানে জোর দিতে দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই সঙ্গে রাজ্যে রাজ্যে নানা রকম সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। রাজ্য বিজেপি ওই সময়কালে রাজ্যের সর্বত্র রক্তদান শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহ সময় ধরে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সকালে ফিরে রাতেই আবার চলে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। মাঝে গোটা দিন দলের সল্টলেক দফতরে রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন সুকান্ত। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য জুড়ে রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর। দলের প্রতিটি জেলাকে কমপক্ষে ১০০ ইউনিট করে রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি লোকসভা এলাকা ধরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ভাগ। একমাত্র দার্জিলিং লোকসভা এলাকা দু’টি জেলা। দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি। তবে বিজেপির এই কর্মসূচিতে ৪২টি লোকসভা এলাকা থেকে কমপক্ষে ১০০ ইউনিট করে রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই এক পক্ষ কাল সময়ে বিজেপি রাজ্যে ৪,২০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহে উদ্যোগী হতে চায়। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমরা প্রতি বছরই এই সময়টায় নানা রকম সেবামূলক কর্মসূচি করে থাকি। এ বারও সব কিছু হবে। সারা বছরই দলের উদ্যোগে রক্তদান শিবির হয়। তবু আলাদা করে রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে শুধু সেটাই হবে এমনটা নয়।’’
মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরেই ‘সেবা পক্ষ’ পালন করে বিজেপি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এ বার সেই কর্মসূচিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চায় দল। গত সপ্তাহে এ নিয়ে সর্বভারতীয় সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক করেন নড্ডা। হাজির ছিলেন সমস্ত সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই ঠিক হয়, প্রতিটি রাজ্যে স্বচ্ছতা থেকে বৃক্ষরোপণের মতো কর্মসূচি পালিত হবে। দলের সমস্ত সাংসদকে ব্যক্তিগত ভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতেও বলা হবে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ এসে গিয়েছে। দলের সব সাংসদকেই নিজের নিজের এলাকায় ওই সময়টায় বিধানসভা ধরে ধরে সেবামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে।
তবে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকেই টানা কর্মসূচি করতে পারবেন না সাংসদেরা। কারণ, পরের দিন ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। রাজ্যের ১৬ সাংসদকেই ১৭ তারিখে দিল্লিতে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। তাঁরা ফিরবেন ২২ সেপ্টেম্বর বা তার পরে। এর পরের সময়টাতেও নিজের এলাকায় সেবামূলক কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। তবে সাংসদেরা না থাকলেও জেলা কমিটির উদ্যোগেই রাজ্য জুড়ে রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ হবে বলে ঠিক করেছে বিজেপি। তাতে রাজ্যের ৭০ বিধায়কও যাতে অংশ নেন, সেই নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।