VLTD

সিএফের সময় গাড়িতে ভিএলটিডি বসালেই চলবে, জানাল পরিবহণ দফতর

বাস মালিকদের সংগঠনগুলির দাবি ছিল, গাড়ির সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস (সিএফ) করানোর সময় ভিএলটিডি লাগানোর সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই এ বার সিএফের সময় ভিএলটিডি লাগানোর সুযোগ দেওয়া হল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ১৬:৫৭
Image of Bus.

কলকাতা শহর তথা রাজ্যের সব গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানো বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।

গাড়িতে ভেহিকলস লোকেশন ট্র‍্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিভি) লাগানোর ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আনল পরিবহণ দফতর। শুক্রবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দফতর। গত বছর থেকেই কলকাতা শহর তথা রাজ্যের সব গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানো বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় পূর্ত, সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য পরিবহণ দফতর।

প্রথমে বলা হয়, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত গাড়িতে ভিএলটিডি লাগাতে হবে। নতুন এই প্রযুক্তিটি গাড়িতে না লাগানো হলে, প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জরিমানা করা হবে। প্রথমে বাধ্যতামূলক করা ও পরে জরিমানার ঘোষণা হওয়ায় পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতারা। তাঁরা ভিএলটিডি লাগানোর পক্ষে মত দিলেও, তা বাধ্যতামূলক করা বা তা লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, জরিমানা করা হলে, তাঁরা পাল্টা প্রতিবাদ জানাবেন।

Advertisement

পরে সিদ্ধান্ত হয়, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভিএলটিডি লাগাতে হবে। পরে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মে করা হয়। তবে বাস মালিকদের সংগঠনগুলির দাবি ছিল, গাড়ির সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস (সিএফ) করানোর সময় ভিএলটিডির সময় লাগানোর সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই এ বার সিএফের সময় ভিএলটিডি লাগানোর সুযোগ দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, নতুন এই প্রযুক্তিটি সংযোজিত হলে, কোন গাড়ি কোথায় রয়েছে, তা সহজেই জানতে পারবে প্রশাসন। কোনও গাড়ির যাত্রী বা চালক কোথাও বিপদে পড়লে প্যানিক বাটন মারফত তা সহজেই পুলিশ প্রশাসনের গোচরে আসবে।

সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের নেতা টিটু সাহা বলেন, ‘‘আমরা পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে খুশি। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও রয়েছে। কারণ ৩১ মের মধ্যে যদি সব গাড়ির ভিএলটিডি লাগানোর সময়সীমা বহাল থাকত, তা হলে পরিবহণ পরিষেবার উপরেও চাপ বাড়ত। তা ছাড়া যাঁরা এই নতুন প্রযুক্তি গাড়িতে লাগানোর কাজ করছেন, তাঁরা এখনও সড়গড় নন। তাই সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ সঠিক ভাবে হবে বলেই আমরা মনে করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement