Vishwakarma Puja

বিশ্বকর্মা পুজোয় জাঁক নেই বহু শিল্পাঞ্চলেই

নতুন শিল্প কার্যত আসেনি। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের নানা শিল্পাঞ্চলে তুলনায় কম জৌলুস নিয়েই আয়োজন হল বিশ্বকর্মা পুজোর।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৩১
শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেও খুলল না বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার গেট। নিজস্ব চিত্র

শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেও খুলল না বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার গেট। নিজস্ব চিত্র

নানা কারখানায় ঝাঁপ পড়েছে। যেগুলি টিকে রয়েছে, তার কয়েকটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় কর্মীরা। নতুন শিল্প কার্যত আসেনি। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের নানা শিল্পাঞ্চলে তুলনায় কম জৌলুস নিয়েই আয়োজন হল বিশ্বকর্মা পুজোর। আসানসোল-দুর্গাপুর থেকে ব্যারাকপুর বা হুগলির নানা শিল্পাঞ্চলে শনিবার দেখা গেল এমন ছবি। তবে হলদিয়ার মতো কিছু শিল্প-এলাকায় নানা পুজোয় ঢল নামল আগের মতোই।

পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরে ২০১৮ সালে বন্ধ হয়েছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড করাখানা। গত বছরও কিছু শ্রমিক-কর্মী ছোট আকারে পুজো করেছিলেন। এ বার কিছুই হয়নি, জানান তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘এই দিনটা আমরা দুর্গাপুজোর মতো আনন্দ করতাম। সে দিন এখন গিয়েছে!’’ ২০১৭ সালে ঝাঁপ পড়েছে রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্তান কেব্‌লসে। আগে বিশ্বকর্মা পুজোয় যে চত্বর গমগম চত্বর, এখন কার্যত জনশূন্য। কয়েক বছরে বন্ধ হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের মাউথডিহি, কালিপাহাড়ি-সহ ইসিএলের নানা খনি। দুর্গাপুরেও বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ। আরও কিছু কারখানা ধুঁকছে। জাঁকজমকহীন পুজো দেখা গিয়েছে সে সব জায়গাতেও।

Advertisement

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অন্য নানা বছরে এই দিনে আকাশ ছেয়ে যেত ঘুড়িতে। এ বার মেঘলা আকাশে দেখা গেল হাতে গোনা কিছু ঘুড়ি। ধুঁকতে থাকা চটকলগুলির তুলনায় পুজোর বেশি জাঁকজমক দেখা গেল রিকশা, টোটো বা অটোস্ট্যান্ডের পুজোয়। খড়্গপুরের ছোট-বড় কারখানাগুলিতেও পুজোর জৌলুস ছিল তুলনায় কম। হুগলিতে হিন্দমোটর, ডানলপ, গোন্দলপাড়া জুটমিলের মতো নানা কারখানা বন্ধ। অনেক কারখানা ধুঁকছে। গত কয়েক বছরের মতো এ বারও সেখানে পুজো কার্যত বিবর্ণ। সর্বত্র দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল না। শ্রমিকদের অনেকের দাবি, শিল্পাঞ্চলের বেহাল অবস্থাই ফুটে উঠেছে পুজোয়। বীরভূমের পাঁচামি পাথর শিল্পাঞ্চলে দু’বছর আগেও ধুমধাম করে পুজো হয়েছিল। এ বার সে ছবি দেখা যায়নি।

তবে পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পশহর হলদিয়ায় নানা মণ্ডপে দর্শনার্থীর ঢল নামে। করোনার কারণে গত দু’বছরে বড় আকারে পুজো হয়নি। এ বার সে খামতি পূরণ হয়েছে, দাবি উদ্যোক্তাদের অনেকের। পুজো উদ্বোধনে তৃণমূল নেতাদের বেশি দেখা গেলেও, একটি পুজো উদ্বোধনে আসেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। গোয়ালতোড়ের প্রস্তাবিত শিল্পতালুকেও পুজোয় ছিল জমকালো আয়োজন। বীরভূমের বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপনগরীতে ১৯টি পুজোর আয়োজন হয়েছে বেশ বড় করেই।

আরও পড়ুন
Advertisement