অভিষেক যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হবেন, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বুধবারের শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকেই। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যস্ততায় সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাজেট অধিবেশনের শেষভাগে যোগ দিতে রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হয়ে গিয়েছেন তিনি। সোমবার থেকে পুরোদমে সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাই রাজধানীর রাজনীতির কারবারিদের ধারণা, আগামী কয়েক দিন অভিষেকের উপস্থিতিতে সংসদে উত্তাপ বাড়িয়ে দিতে পারে তৃণমূল সংসদীয় দল।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরুর আগেই কালীঘাটের বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনর সঙ্গে। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেকও। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই সংসদে বিরোধিতার সুর সপ্তমে চড়িয়েছিল তৃণমূল সংসদীয় দল। কখনও গান্ধীমূর্তির কাছে ধর্না দিয়ে, কখনও আবার সংসদের দু’কক্ষেই মোদী-আদানি যোগের অভিযোগ তুলে। তাই মনে করা হচ্ছে, অভিষেকের উপস্থিতিতে সেই আক্রমণের ঝাঁঝ কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে।
অভিষেক যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হবেন, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বুধবারের শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকেই। ওই দিনের জনসভায় রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। অভিষেক দাবি করেছিলেন, ১০৬টি প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে মোট এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চে গিয়েও একই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। আবার শুক্রবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকেও তাঁর গলায় ছিল কেন্দ্রবিরোধী সুর। ওই দিন অভিষেক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাই ধারাবাহিক ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অভিষেক বিজেপির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হওয়াকেই তাঁর সংসদে সরব হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন। তবে দলের এক বর্ষীয়ান সাংসদ জানিয়েছেন, সোমবার দল কী রণনীতি নেবে, তা যথা সময়ে দলের তরফ থেকে জানানো হবে। সঙ্গে আরও বলছেন, ‘‘সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে এলে নিশ্চয়ই অভিষেক নিজের কথা তুলে ধরবেন।’’