Jyotipriya Mallick

‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন’, আদালতে আর্তি বালুর, বিচারক বললেন, ‘অসুবিধা হলে সেলে চলে যান’

অসুস্থতার কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বালুকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। শুনানি শুরু হতেই বিচারক তাঁর কুশল সংবাদ নেন। জিজ্ঞেস করেন, তাঁর কী সমস্যা রয়েছে। জবাবে বালু জানান, তিনি অসুস্থ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০৭
image of jyotipriyo Mallick

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।

অসুস্থতার কারণে সশরীরে বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যিনি বালু নামেও পরিচিত। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি শুরু হতেই বিচারক তাঁর কুশল সংবাদ নেন। জিজ্ঞেস করেন, কী সমস্যা রয়েছে তাঁর। জ্যোতিপ্রিয়ের আর্তি, ‘‘আমাকে বাঁচতে দিন।’’ বিচারক তাঁর অসুস্থতার কথা শোনার পর জানান, চাইলে তিনি সেলে ফিরে যেতে পারেন। জ্যোতিপ্রিয় নিজেকে আইনজীবী দাবি করায় বিচারক জানান, তিনি নিশ্চয়ই জেল এবং কোর্টের এক্তিয়ারের বিষয়ে অবগত। বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন করেননি জ্যোতিপ্রিয়।

Advertisement

গত ২৬ অক্টোবর মাঝরাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। তার পর অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কোর্ট। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে প্রথমে ইডির হেফাজত এবং তার পর জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়নি। শুনানি শুরু হতে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‘কী সমস্যা হচ্ছে আপনার? যেখানে আপনি বসে রয়েছেন, আপনার কী সমস্যা হচ্ছে? সমস্যা হলে ওঁকে নিয়ে যেতে পারেন।’’ জবাবে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘৩৫০ সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। বাঁচতে দিন।’’

এর পর জ্যোতিপ্রিয় নিজের আইনজীবী পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আইনজীবী। হাইকোর্ট ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সদস্য। পায়ের সমস্যা হচ্ছে। ৩৫০-এর বেশি সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। স্যর আমাকে বাঁচতে দিন।’’ বিচারক বলেন, ‘‘আপনি নিজেকে যখন আইনজীবী হিসেবে দাবি করছেন, তখন নিশ্চয়ই জেল এবং কোর্টের এক্তিয়ার সম্পর্কে অবগত রয়েছেন ধরে নেওয়া যায়। এক জন আইনজীবী হলে আপনার বুঝে যাওয়া উচিত।’’ বালুর কথা শোনার পর বিচারপতি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘আপনার অসুবিধা হলে সেলে চলে যেতে পারেন।’’

ইডির আইনজীবী জেলে গিয়ে জেরার আবেদন জানান। জেলে জেরার সময় ডিজিটাল গেজেট ব্যবহারের আবেদন করেন। জ্যোতিপ্রিয়কে জেল হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও করেন। জ্যোতিপ্রিয়ের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল সুস্থ নন। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন। সুপারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। খাট এবং টেবিল দেওয়ার আবেদনও জানান। বিচারক বলেন, ‘‘সেটা জেলের এক্তিয়ার।’’

আরও পড়ুন
Advertisement