আরাবুল ইসলাম এবং রতন দাস। —ফাইল চিত্র
কলেজের অধ্যাপিকাকে জলের জগ ছুড়ে মেরেছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। এ বার জলের বোতল ছুড়ে মারা হল বিডিওকে! অভিযুক্ত উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রতন দাস।
বিডিও দফতর সূত্রে খবর, টেন্ডার কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল গত বুধবার। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বিডিও সিতাংশুশেখর সীটের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোতল ছুড়ে মারেন রতন। বোতলটি বিডিওর গায়ে লাগেনি। লেগেছে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের গায়ে। বাগ্বিতণ্ডার সময় বিডিওকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর একই ভাবে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল। ভাঙড় কলেজে ওয়েবকুটার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি আরাবুলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ভূগোলের শিক্ষিকা দেবযানী দে। অভিযোগ, দু’তরফের মধ্যে বচসা চলাকালীন আচমকা আরাবুল ওই শিক্ষিকাকে লক্ষ্য করে প্লাস্টিকের জগ ছুড়ে মেরেছিলেন। থুতনিতে আঘাতও পেয়েছিলেন দেবযানী। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে খানিক অস্বস্তিতে শাসক শিবির। রতনের অবশ্য দাবি, বিডিও তাঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিডিওর উদ্দেশে বোতল ছুড়ে মারেননি তিনি। গোটা ঘটনা নিয়ে বিডিও অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। তবে বিডিও দফতর সূত্রে খবর, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তবে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘ওঁদের দু’জনের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলাশাসক দেখছেন। ওখানে একটা সরকারি সভা ছিল। সেই সরকারি সভার বিষয় নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। তবে জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছেন, বিডিওর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। তিনি তদন্ত করছেন।’’