এই প্রথম আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট-সহ সিপিএমের জেলা, এরিয়া ও শাখা কমিটিতে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। ফাইল চিত্র
অবশেষে রাজ্য জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। রবিবার শেষ হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজ্য কমিটির তরফে তা পালনের অনুমতি চান। প্রস্তাব আকারে এই অনুমতি চাওয়া হয় বলেই খবর। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি পশ্চিমবঙ্গ কমিটিকে স্বাধীনতা দিবসের পালনের অনুমতি দিয়েছে। তাই আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট থেকে শুরু করে জেলা, শাখা কমিটিগুলিতে ভারতের জাতীয় পতাকা প্রথমবারের জন্য উত্তোলন করা হবে।
আগামী রবিবার স্বাধীনতা দিবস। কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি সবদলই ১৫ অগস্ট ঘটা করে স্বাধীনতা দিবস পালন করে। কোনওদিনই সিপিএম নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করতে দেখেনি রাজ্যবাসী। ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূত্রপাতের পর একাধিক কমিউনিস্ট পার্টি তৈরি হয়েছে দেশে। সেভাবেই ১৯৬৪ সালে সিপিআই ভেঙে তৈরি হয় সিপিএম। নিজেদের আন্তর্জাতিক বলে দাবি করা সিপিএম বা বাম দলগুলি কখনওই স্বাধীনতা দিবস পালনে আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে বাংলায় সিপিএমের দাপট কমেছে। এ রাজ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
নিজেদের আন্তর্জাতিকতাবাদী বলে দাবি করা সিপিএম এ বার নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে প্রমাণ করার চেষ্টা শুরু করবে বলেই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের। তাই দেরিতে হলেও, ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫তম বর্ষে, সিপিএমের বঙ্গ শাখাকে তা উদ্যাপনের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে স্বাধীনতা দিবস পালন যে প্রথমবার হচ্ছে এমনটা মানতে চাননি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন। তাঁর কথায়, ‘‘আগেও সিপিএম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। কিন্তু যেহেতু এ বার দেশের স্বাধীনতা ৭৫তম বর্ষে পদাপর্ণ করছে, তাই দলগত ভাবে সব পার্টি অফিসেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সঙ্গে সারা বছর স্বাধীনতা বিষয়ে আলোচনাসভারও আয়োজন করা হবে।’’ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও যে সমস্ত রাজ্যে সিপিএমের সংগঠন রয়েছে সেখানও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় অফিস দিল্লির একে গোপালন ভবনেও উঠবে দেশের জাতীয় পতাকা।