ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে নতুন স্লোগান নিয়ে প্রচার শুরু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষিত হয়নি। তা সত্ত্বেও ওই এলাকার তৃণমূলের উৎসাহী নেতা-কর্মীরা নিজে থেকেই একটি স্লোগান বানিয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বঙ্গ বিজয় করেছে তৃণমূল। সেই স্লোগানটি তৈরি করেছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। কিন্তু ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন স্লোগান ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’।
এই স্লোগানটি তৈরি হয়েছে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর পক্ষ থেকে। উপভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, নেটমাধ্যমে এই স্লোগানটি দিয়ে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। ছোট ছোট হোর্ডিং তৈরি করেও ভবানীপুর এলাকা জুড়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালের উপনির্বাচন ও ২০১৬ সালের সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মমতা। আর ২০২১ সালের নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ২৮ হাজার ভোটে জিতেও, ২১ মে ভবানীপুর বিধানসভা আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। তাই এই আসনে যে আবারও মমতা প্রার্থী হবেন, তা নিশ্চিত বলেই ধরে নিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরের নীচুতলার কর্মীরা। তাই ভোটের তারিখ ঘোষণার আগেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিদি তো ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। তাই ভবানীপুরের নেতা-কর্মীরা অতি উৎসাহী হয়ে স্লোগান তৈরি করেছেন। আমরা সেই স্লোগান নিয়েই উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছি। কারণ, দিদি ছাড়া ভবানীপুর আসনে যোগ্য প্রার্থী কেউ হতে পারেন না বলেই কর্মীরা বিশ্বাস করেন।’’ ভবানীপুরের তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে আর পুজোর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হতে পারে ভোট। শনিবার রাতেই ভবানীপুরে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর দফতরে এই উপনির্বাচন নিয়ে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার-সহ ভবানীপুর এলাকাভুক্ত ওয়ার্ডগুলির কো-অর্ডিনেটররা।