রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল ছবি।
রাজ্যপালের অভিযোগ পেলেও তারা যে এখনও রাজ্যের পুলিশ-কর্তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু করেনি, সেই দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করা হচ্ছে কি না, গত রবিবার থেকে সেই জল্পনা শুরু হয়েছিল প্রশাসনিক মহলে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র দাবি করেছে, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ তারা পেয়েছে এ রাজ্যের রাজ্যপালের থেকে। তবে তার পরবর্তী পদক্ষেপের পথে এখনও তারা অগ্রসর হয়নি।
অন্য দিকে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলও দাবি করেছে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ-কর্তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কোনও পদক্ষেপের তথ্য এখনও তাদের কাছে অজানা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের প্রশ্ন ছিল, সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকার পরেও কী ভাবে এই তদন্ত হতে পারে? সেই কারণে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অভিযোগ পৌঁছেছিল।
অভিজ্ঞ আমলাদের একাংশের দাবি, আইএএস-দের নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ দফতর (ডিওপিটি)। আইপিএস-দের ক্ষেত্রে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু যে রাজ্য ক্যাডারে সংশ্লিষ্ট পুলিশ-কর্তারা কাজ করছেন, তাদের অনুমতি ছাড়া সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্য অনুমতি না দিলে বড়জোর মন্ত্রক সেই পুলিশ কর্তাদের কেন্দ্রে বদলির নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু তার পরেও রাজ্য না ছাড়লে সরাসরি আর কিছু করার থাকে না মন্ত্রকের।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই কর্মসূচির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডায়মন্ড হারবারের তৎকালীন পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং এডিজি দক্ষিণবঙ্গ রাজীব মিশ্রকে ডেপুটেশনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের সম্মতি চেয়ে মন্ত্রক চিঠি দিলেও সায় দেয়নি নবান্ন। তার পরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ হওয়ার কথা মনে করতে পারছেন না অভিজ্ঞ আধিকারিকদের অনেকেই।