পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহারের প্রচার বাড়াতে আগামী ৯-১০ ডিসেম্বর বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ছবি: সংগৃহীত।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে কলকাতা শহর তথা পশ্চিমবঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়াতে দীর্ঘ দিন ধরেই উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ দফতর। এ বার সেই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে দু’দিন ধরে বিশেষ আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই বৈঠকে হাজির থাকবেন স্বয়ং পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ দফতরের বরিষ্ঠ আধিকারিকেরা। সেখানে দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব জেলা রিজিয়োনাল ট্রান্সপোর্ট অথিরিটি (আরটিও)দের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ আবার পরিবহণ দফতরকে এই কাজে বিশেষ সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক। কারণ পরিবেশ দূষণ এড়াতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। গত জুলাই মাসের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে স্বস্তিতে পরিবহণ দফতর। আগামী ২৩ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছিল। প্রথম দিনের শুনানিতে রাজ্য সরকারের আবেদন গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের ফলে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করতে হচ্ছে না পরিবহণ দফতরকে। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিএস-৩ থেকে বিএস-৬ গাড়িতে পরিণত করার মতো নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের এই স্থগিতাদেশের পর পরিবহণ দফতর মনে করছে পরিবেশবান্ধব যানবাহনকে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য কিছুটা সময় পেয়ে গেল। দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, পরিবেশবান্ধব গাড়ি চালানোর উপর আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। কিন্তু এখনই সব পুরনো গাড়ি বাতিল করে দিলে পরিবহণে সমস্যা হবে। তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করায় আমাদের কাজে সুবিধা হল। পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহারের প্রচার বাড়াতে আগামী ৯-১০ ডিসেম্বর বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই আরটিও ও আধিকারিকদের এ ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে মন্ত্রী নির্দেশ দেবেন।