Manik Bhattacharya

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য আবার জেল হেফাজতে

শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৪
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফাইল চিত্র।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় আবার জেল হেফাজতে পাঠানো হল মানিক ভট্টাচার্যকে। শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত।

Advertisement

এই মামলায় শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেন মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। তাঁরা জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

প্রসঙ্গত, এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গে ব্যাঙ্কে যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক-পত্নীর। সেই অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। মানিকের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায়। রাজ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে শৌভিকের বিরুদ্ধে।

কিছু দিন আগে, মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এর আগে তাপসকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদমাধ্যমে তাপস বলেছিলেন, ‘‘ইডির কাছে যা বলেছি, সিবিআইকেও সেটাই বলেছি। মানিকবাবুর সঙ্গে যা ঘটেছিল, তা ইডিকে বলেছি। সিবিআই সেটাই যাচাই করল। ২১ কোটি টাকার হিসাব আগে দিয়েছি। ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। উনি কোনও রসিদ দিতেন না।’’ ডিএলএড কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাপস। লোক পাঠিয়ে এই টাকা সংগ্রহ করতেন মানিক! এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন তাপস।

আরও পড়ুন
Advertisement