বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির প্রয়োজন ‘নির্বাচনমুখী সংগঠন’ এবং ‘আন্দোলনমুখী মোর্চা’। শনিবার উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পর ‘উপলব্ধি’ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শনিবার রাজ্যের ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা ছিল। একটিতেও জিততে পারেনি বিজেপি। ধরে রাখতে পারেনি মাদারিহাটের জেতা আসনও। সিতাই এবং হাড়োয়ায় জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের।
শুভেন্দুর অবশ্য বক্তব্য, উপনির্বাচনের এই ছ’টি আসন নিয়ে তাঁরা ভাবেননি। তাঁদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেই উদ্দেশ্যেই ‘নির্বাচনমুখী সংগঠন’ এবং ‘আন্দোলনমুখী মোর্চা’র প্রয়োজনীয়তার কথা দলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। হাতে যে আর মাত্র এক বছর সময় রয়েছে, তা-ও বলেছেন শুভেন্দু।
হাড়োয়ার উপনির্বাচনে দলের জামানত জব্দ হয়েছে। তবে তা নিয়ে ভাবিত নন বিরোধী দলনেতা। ২০২৬ সালের ভোটেও হাড়োয়া থেকে বিজেপি জিততে পারবে না বলে ভবিষ্যদ্বাণী শুভেন্দুর। তাঁর কথায়, “হাড়োয়ায় আমরা কোনও দিনই জিতিনি। ভবিষ্যতেও জিতব না।” কেন এ কথা মনে করছেন, সেই ব্যাখ্যাও দেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, হাড়োয়ায় ৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার থাকার কারণেই সেখানে বিজেপির জয়ের আশা নেই।
একই ভাবে সিতাইয়ের বিষয়েও খুব একটা আশাবাদী নন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে সেখানেও প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। ২০২৬ সালের ভোটে সেখানে দল লড়াই করলেও জয়ের বিষয়ে সংশয়ে রয়েছেন তিনি। যদিও বাকি চার আসনে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভাল ফলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু।
পাশাপাশি এই ছয় আসনের উপনির্বাচন নিয়েও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে বিরোধী দলনেতার। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগে থেকেই দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাতে উপনির্বাচন হয়নি। ২০২৬ সালে নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্রের মতোই নির্বাচন হবে।”