R G Kar Hospital Incident

দেশ জুড়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে! করণীয় কী কী, বলে দিল সুপ্রিম কোর্ট

টাস্ক ফোর্সে থাকবেন ৯ জন চিকিৎসক। সুপ্রিম কোর্ট টাস্ক ফোর্সকে তিন সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৩৫
হাসপাতালের নিরাপত্তায় জোর সুপ্রিম কোর্টের।

হাসপাতালের নিরাপত্তায় জোর সুপ্রিম কোর্টের। ছবি: রয়টার্স

আরজি কর-কাণ্ডের অভিঘাত। দেশ জুড়ে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা কাঠোমা ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দেয়।

Advertisement

এই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন ৯ জন চিকিৎসক। টাস্ক ফোর্স মূলত দু’টি বিষয়ে কাজ করবে। এক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের উপর হিংসা এবং লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করা। দুই, হাসপাতালের চিকিৎসক, ইন্টার্ন, রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি প্রোটোকল বা নিয়মবিধি তৈরি করা। সুপ্রিম কোর্ট টাস্ক ফোর্সকে তিন সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

হাসপাতালের নিরাপত্তা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, সঙ্কটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি টাস্ক ফোর্স তদারকি করবে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন রুখতে যে আইন, তা সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও কার্যকর রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নিরাপত্তায় একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।

তা ছাড়াও হাসপাতালের সব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো এবং সিসি ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে কি না, ভিড় আটকাতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে টাস্ক ফোর্স। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রাখা যায় কি না, তা-ও টাস্ক ফোর্সকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। রোগী বাদ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কেউ যাতে হাসপাতালে ঢুকতে না পারে, হাসপাতালগুলিকে তা নিশ্চিত করার কথা জানাবে টাস্ক ফোর্স।

নয় সদস্যবিশিষ্ট টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন ১) শল্যচিকিৎসক ভাইস অ্যাডমিরাল আরকে সারিয়ান, ২) এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলজির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডক্টর রেড্ডি, ৩) দিল্লি এমসের ডিরেক্টর এম শ্রীবাস, ৪) বেঙ্গালুরু ‘নিমহান’-এর চিকিৎসক প্রতিমা মূর্তি, ৫) জোধপুর এমসের ডিরেক্টর ডক্টর পুরী, ৬) গঙ্গারাম হাসপাতালের পরিচালন কমিটির সদস্য ডক্টর রাভাত, ৭) পণ্ডিত বিডি শর্মা কলেজের উপাচার্য অনিতা সাক্সেনা, ৮) ডক্টর পল্লবী এবং ৯) ডক্টর পদ্ম শ্রীবাস্তব।

Advertisement
আরও পড়ুন