West Bengal Panchayat Election 2023

সংঘাতের আবহে রবিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতে পারেন কমিশনার রাজীব

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা এবং প্রত্যাহার পর্বে হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে একাধিক বার নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজীব যাননি। রবিবার যাবেন কি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ২২:৫৩
Image of Governor CV Ananda Bose and State Election Commissioner Rajiva Sinha

(বাঁ দিকে) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। — ফাইল ছবি।

রবিবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতে পারেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। কমিশনার পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বারই রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজীব। কিন্তু তার পর থেকে একাধিক বার ডাকা সত্ত্বেও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি রাজীব। রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে রাজীবের যোগদানের রিপোর্টও নবান্নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন। সংঘাতের আবহেই রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন রাজীব।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন রাজীব। তার পর থেকে মনোনয়নপত্র জমা এবং প্রত্যাহার পর্বে বেলাগাম হিংসার ঘটনার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও বেনজির টানাপড়েনের সাক্ষী হয়েছে রাজ্যবাসী। মনোনয়ন পর্ব শেষ। আদালতের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। এই প্রেক্ষিতেই সম্ভবত রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের।

Advertisement

বস্তুত, মনোনয়ন পর্বে হিংসার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বলেছিলেন, প্রাক্‌ নির্বাচন পর্বে যত রক্ত ঝরেছে, তার দায় নিতে হবে কমিশনারকেই। ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ে মনোনয়ন পর্বে সন্ত্রাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজীবকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, তখন কার্যত সেই ডাক এড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজীব। তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই রাজীবের নির্বাচন কমিশনার পদে যোগদানের রিপোর্ট নবান্নে ফেরত পাঠায় রাজভবন। এতে প্রশ্ন ওঠে, পঞ্চায়েত ভোট কি আদৌ হবে? যদিও অন্য একটি অংশের মত ছিল, যোগদানের রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে কমিশনারকে পদ থেকে সরানো যায় না। তাঁকে সরাতে গেলে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

রাজ্যপাল শনিবারই ফোন করেছিলেন পুরুলিয়ার আদ্রায় নিহত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের দাদা আনন্দকে। ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল কথা বলেন আনন্দের সঙ্গে। পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি খোঁজ নিয়েছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। ধনঞ্জয়ের খুনের ঘটনায় শুক্রবারই অবশ্য পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি ঘটনাচক্রে বেতো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেন। ভাঙড়ের অশান্তিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে বাড়ি গিয়ে দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল। তার পর নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে ফোন গেল রাজভবন থেকে।

এই সংঘাতের আবহেই এ বার রাজভবনে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের।

আরও পড়ুন
Advertisement