(বাঁ দিকে) আদ্রায় নিহত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
আদ্রায় নিহত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার ধনঞ্জয়ের দাদা আনন্দ চৌবেকে ফোন করেন তিনি। ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।
ধনঞ্জয় আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় পার্টি অফিসের মধ্যেই গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়। আততায়ীদের গুলিতে জখম হয়েছেন ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল শেখর দাসও। ধনঞ্জয়কে উদ্ধার করে রঘুনাথপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর গায়ে পাঁচটি গুলি লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল ধনঞ্জয়ের দাদাকে ফোন করে তাঁদের পারিবারিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। বাড়িতে কে কে আছেন, পরিবারের আর কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না ইত্যাদি জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি খোঁজ নিয়েছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। পুলিশ প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে কি না, ধনঞ্জয়ের দাদার কাছে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবনের তরফে নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারকে অর্থসাহায্যও করা হয়েছে। ২৫ হাজার টাকা তাঁদের দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনকে তাঁর নির্দেশ, অভিযুক্তেরা যাতে কোনও ভাবেই ছেড়ে দেওয়া না হয়। কমিশনের কাছে একটি রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে। রাজভবনে ওই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন রাজ্যপাল।
ধনঞ্জয় খুনের ঘটনায় শুক্রবার বেতো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া, মহম্মদ জামাল নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে আদ্রা থানার পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে অশান্তির জেরে ভাঙড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। অশান্তি ছড়িয়েছিল ক্যানিংয়েও। ভাঙড়ে গিয়ে রাজ্যপাল নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তার পরেই শাসকদলের তরফে অভিযোগ উঠতে শুরু করে, রাজ্যপাল কেবল বিরোধীদের প্রতিই সহানুভূতিশীল। শনিবার পুরুলিয়ার নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারকে ফোন করে বিরোধীদের সেই ‘অপবাদ’ ঘোচালেন তিনি।