CBI

পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার আগে তাঁকে জানানো হয়নি কেন, অসন্তুষ্ট স্পিকার বিমান

গত বছর বিধানসভায় সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের তলব করেছিলেন স্পিকার। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। হাজিরা দেওয়ার বদলে, ওই দুই তদন্তকারী সংস্থাই চিঠি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪৫
সিবিআই ও ইডির ভুমিকায় অসন্তুষ্ট বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিবিআই ও ইডির ভুমিকায় অসন্তুষ্ট বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের গ্রেফতার নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্ঘাত কোনও নতুন ঘটনা নয়। দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিধায়কদের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি না নেওয়ায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এ বার চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে দাবি করে ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্পিকার। পুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যে অধিবেশন বসেছিল, তাতে সরকারের তরফে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয়েছিল। পাশাপাশি, গত বছর বিধানসভায় সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের তলব করেছিলেন স্পিকার। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। হাজিরা দেওয়ার বদলে, ওই দুই তদন্তকারী সংস্থাই চিঠি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিল।

কোনও ক্ষেত্রেই সিবিআই কিংবা ইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারছেন না স্পিকার। সে ব্যাপারে নিজের ঘনিষ্ঠমহলে প্রায়শই ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রথম বার ২০২১ সালের মে মাসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অধুনা প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। নারদ তদন্ত মামলায় এঁদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সে বার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্পিকার ক্ষোভোর সুরে বলেছিলেন, ‘‘মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে কিছুই জানানো হয়নি।’’চলতি বছর ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের সময় অবশ্য চিঠি দিয়ে স্পিকারের দফতরকে জানিয়েছিল ইডি।

Advertisement

সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এ ক্ষেত্রেও স্পিকারের দফতরকে চিঠি পাঠিয়েই ইডি দায় সেরেছে বলে অভিযোগ। তবে স্পিকারের অভিযোগ ইডি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তা নিয়েও অন্ধকারে রাখা হয়েছে বিধানসভাকে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছিলেন, সবকিছুই তাঁকে জানতে হচ্ছে সংবাদমাধ্যম থেকেই। সঙ্গে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, কোনও মন্ত্রী বা বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সিবিআই কিংবা ইডি, কেউই সেই নিয়ম মানেননি। এই অভিযোগে বিধানসভার সচিবালয় ওই তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement