Vande Bharat

হাওড়ায় বন্দে ভারত উদ্বোধনে হঠাৎ নাটক! ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনে মঞ্চেই উঠলেন না মমতা

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্লোগান দেওয়া জনতাকে থামানোর চেষ্টা করেন। রেলের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।  

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৩৫
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ছবি সংগৃহীত।

আবার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। হাওড়া স্টেশনে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে মমতা উপস্থিত হওয়ার পরেই প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত দর্শকদের একাংশের বিরুদ্ধে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্লোগান দেওয়া জনতাকে থামানোর চেষ্টা করেন। রেলের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। সে সময় গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে।

তিনি যে এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট, তা বুঝিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বন্দে ভারতের উদ্বোধনের মঞ্চে উঠতে রাজি হননি তিনি। রেলমন্ত্রী হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান। কিন্তু মঞ্চের পাশেই একটি চেয়ারে বসে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। শেষমেশ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুরোধে বক্তব্য রাখতে রাজি হন মমতা। যদিও মঞ্চে ওঠেননি তিনি। মঞ্চের নীচেই সবুজ পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। সেখান থেকেই বক্তব্য রাখেন তিনি।

Advertisement

নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মা হীরাবেন মোদীর উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করেন তিনি। আলাদা করে উল্লেখ করেন জোকা-তারাতলা মেট্রোর কথাও। নিজে রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা। শুক্রবারই এই মেট্রোপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত, মমতার সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠার ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালনের ওই অনুষ্ঠানে মমতা বক্তব্য রাখতে উঠলে, দর্শকাসন থেকে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। সামনের সারিতে বসে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির নেতারা স্লোগান থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

স্লোগান শুনে দৃশ্যতই বিরক্ত হন মমতা। খানিক বিব্রত ঘোষক বলেন, ‘‘আপনারা একটু শান্ত হোন। ওঁকে (মমতাকে) কিছু বলতে দিন।’’ কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ক্ষুব্ধ মমতা পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমেই হিন্দিতে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা শালীনতা থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। এটা সমস্ত দলেরই কর্মসূচি। জনতার কর্মসূচি।’’ সেখানেই না থেমে মমতা বলেছিলেন, “কাউকে আমন্ত্রণ করে অসম্মান (মমতা ‘বেইজ্জত’ শব্দটি ব্যবহার করেন) করাটা শোভনীয় নয়। এর প্রতিবাদে আমি এখানে কিছু বলছি না। জয় হিন্দ! জয় বাংলা!’’ বিধানসভা ভোটের আগে এই ঘটনা নিয়ে সে সময় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সে বার বক্তব্য না রেখে অনুষ্ঠান মঞ্চ ছাড়লেও এ দিন অবশ্য মঞ্চের নীচ থেকেই বক্তব্য রাখলেন মমতা।

আরও পড়ুন
Advertisement