Ratna Chatterjee

Sovan-Ratna-Baisakhi: দড়ি দিয়ে বাঁধলেও শোভন-বৈশাখীকে রোখা যাবে না, বললেন রত্নার বাবা দুলাল

রত্নার ক্রুদ্ধ পিতা বলেছেন, ‘‘আসলে ওরা সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৩৭
শোভনের বৈশাখীকে সিঁদুরদান নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ রত্নার বাবা বিধায়ক দুলাল দাস।

শোভনের বৈশাখীকে সিঁদুরদান নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ রত্নার বাবা বিধায়ক দুলাল দাস। ফাইল চিত্র।

দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই খেপে লাল তাঁর শ্বশুরমশাই তথা মহেশতলার তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাস। শোভনের বিরুদ্ধে রত্নার লড়াইয়ে বরাবর মেয়ের পাশে থেকেছেন দুলাল। ফলস্বরূপ, ধারাবাহিকভাবেই শোভন-বৈশাখীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনা দুলালের ক্রোধের আগুনে ঘি ঢেলেছে। রত্নার ক্রুদ্ধ পিতা বলেছেন, ‘‘আসলে ওরা সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা। পাগল হয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। ওরা যা করছে তাকে ব্যভিচার ছাড়া আর কিছুই বলে না।’’

Advertisement

দুলাল বলেন, ‘‘এখন আর ওদের (শোভন-বৈশাখী) কোনও কিছুতেই আমার বা আমার মেয়ের কিছু এসে যায় না। কিন্তু যে সব কাণ্ড ওরা করে বেড়াচ্ছে, তাতে দেখে মনে হয়, দড়ি দিয়ে ওদের বেঁধে রাখলেও আর দু’জনকে আটকে রাখা যাবে না।’’ রত্নার সঙ্গে শোভনের বিয়েতেও যে তাঁর মত ছিল না, তাও জানিয়েছেন মহেশতলার বিধায়ক। পুরনো দিনের প্রসঙ্গ টেনে দুলাল বলেন, ‘‘আমি কোনওদিনই ওর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চাইনি। ওর (শোভন) বাড়ির লোক আমার পায়ে পড়ে বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছিল। কিন্তু ২২ বছর পর ঘর করার পর ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাবা হয়ে যে নিজের ছেলেমেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না, তার থেকে এর চেয়ে বেশি কী-ই বা আশা করতে পারি?’’

Advertisement
আরও পড়ুন