— প্রতীকী চিত্র।
আদালতের হস্তক্ষেপের পরে বহরমপুর পুরসভা পরিচালিত স্কুলের দুই কর্মী গীতা চৌধুরী ও শিবানী সাহার বেতন শেষ পর্যন্ত মিটিয়ে দেওয়া হল। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ রেখেছিল পুরসভা। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। সমস্যার সুরাহা না-হওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন ওই দুই কর্মী। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ না-মানায় পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও উঠেছিল। তার পরে ডিভিশন বেঞ্চেও ওই দু’জনের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হয়েছিল। আদালতে আগের মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই দুই কর্মচারীর বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন টানাপড়েনের প্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অধীরের বক্তব্য, ‘‘তফসিলি জাতিভুক্ত দু’জন সাধারণ মহিলা কর্মীর বেতন যেটা সহজেই দেওয়া যেত, সেই কাজ করতে আদালতের হস্তক্ষেপে প্রয়োজন হল!’’ তবে কোনও কোনও মহলের আশঙ্কা, এর পরে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়ার খাঁড়া নামতে পারে।