Rudranil Ghosh

Bengal Politics: আমায় চড় মেরেছে, রুদ্রনীলের অভিযোগ কালীঘাট থানায়, অসত্য দাবি বলছে তৃণমূল

কালীঘাট থানায় অভিযোগে রুদ্রনীল জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি কলকাতার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর উপরে হামলা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ১৬:১২
রুদ্রনীল ঘোষ।

রুদ্রনীল ঘোষ।

ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে গালে সপাটে চড় খেয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন অভিনেতা তথা বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের প্রার্থী। ভোটে তিনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন। শুক্রবার রুদ্রনীল জানান, ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তিনি তৃণমূলের হামলার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কালীঘাট থানায় অভিযোগও নথিভুক্ত করেছেন তিনি। তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য।

শুক্রবারের ঘটনা সম্পর্কে রুদ্রনীল বলেন, ‘‘আমি কয়েকজনকে নিয়ে ত্রাণবিলির কাজ করছিলাম। প্রায় ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার পর ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ দলবল নিয়ে আমার উপরে হামলা করে। আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। আমার সঙ্গীদেরও মারা হয়েছে। ত্রাণের গাড়িটিও আটকে রাখার চেষ্টা হয়।’’ তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, রুদ্রনীলের বক্তব্য একেবারেই সত্যি নয়। তাঁর উপর কেউই হামলা করেনি। দলের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‘উনি তো অভিনেতা। ভোটে হেরে গিয়ে এখন অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছেন! কেন কেউ ওঁকে শুধু শুধু চড় মারতে যাবে!’’ অভিযুক্ত বাবলুও বলেন, ‘‘ওঁকে শুধু প্রশ্ন করেছিলাম, ত্রাণ বিলির প্রশাসনিক অনুমতি আছে কি? তাতেই উনি রেগে যান। একটু কথা কাটাকাটি হয়। এইটুকুই।’’

Advertisement

সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন রুদ্রনীল। হেরে গিয়েছেন। কিন্তু অভিনেতার দাবি, হেরে গেলেও তিনি ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকতে চান। রুদ্রনীল বলেন, ‘‘ওই এলকায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পরে প্লাবনে বহু মানুষ বিপদে। সেই সব দুর্গত মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম। মোট ৫০০ পরিবারকে ত্রাণ দেব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু সেটা পারলাম না।’’ রুদ্রনীল আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ ত্রাণে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি বলেন, বিজেপি-কে আসতে হবে না! আমরাই শুধু ত্রাণ দেব।’’ তবে রুদ্রনীলের ওই দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা বাবলু বলেন, ‘‘মারপিটের ঘটনা সম্পূর্ণ কল্পিত। ভবানীপুরে ঘূর্ণিঝড়ে কোনও ক্ষতিই হয়নি! রুদ্রনীলবাবু ত্রাণ বিলি করছেন দেখে আমি জানতে চাই এ সবের কী দরকার? প্রশাসনিক অনুমতি আছে কি? একজন সহ নাগরিক হিসেবে করা আমার এই প্রশ্নেই উনি রেগে যান। আমার প্রশ্ন করার অধিকার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। একটু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর মধ্যেই পুলিশ এসে যায়। আমি বাড়ি চলে এসেছি। উনি কোথায় গিয়েছেন জানি না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন