এসএসকে, এমএসকের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র (এমএসকে)-এর শিক্ষকদের তিন শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেল। স্কুল শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে।
সোমবার বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, এসএসকের এক জন সহায়ক বা সহায়িকা (শিক্ষক) এখন পান ১১,২৫৫ টাকা। সেই বেতন বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১১,৫৯৩ টাকা। এক জন মুখ্য সহায়ক বা মুখ্য সহায়িকা (প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা) এখন পান ১১,৬৩৮ টাকা। সেই বেতন বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১১,৯৮৭ টাকা। এমএসকের এক জন সম্প্রসারক বা সম্প্রসারিকা (শিক্ষক বা শিক্ষিকা) এখন বেতন পান ১৪,৬৩২ টাকা। তা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১৫,০৭১ টাকা। মুখ্য সম্প্রসারক বা সম্প্রসারিকা (প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা) এখন বেতন পান ১৫,৭৫৮ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তা বৃদ্ধি পেয়ে হতে চলেছে ১৬,২৩১ টাকা।
রাজ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য উপযোগী করে তোলা হয় এই এসএসকে এবং এমএসকেতে। সেখানে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়। তার পরেই তারা স্কুলে ভর্তি হয়। রাজ্যে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৬ হাজার। মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা হল দেড় হাজার। মাদ্রাসাতেও রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে। সেগুলির সংখ্যা ৪০০। এখন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক রয়েছেন রাজ্যের এমএসকে এবং এসএসকেতে।
২০১০ সালে তৎকালীন বাম সরকার একটি বিল আনে বিধানসভায়। সেটি পাশও করানো হয়। তাতে বলা হয়, এসএসকে, এমএসকের শিক্ষকদের জন্য আলাদা বোর্ড গঠন করা হবে। তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ওই বিলে অনুমতি দেননি। তাই বিলটি আর আইনে পরিণত হয়নি। এই শিক্ষকদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন তাঁদের বেতন বৃদ্ধি পায়নি। নতুন নিয়োগও হয়নি। ২০১৮ সালের শেষ থেকে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। ২০১৯ সালে পঞ্চায়েত দফতর থেকে শিক্ষা দফতরের অধীনে আনা হয় এই এসএসকে এবং এমএসকেগুলিকে। ২০২১ সালে ঘোষণা করা হয় যে, এই শিক্ষকদের ৫ লক্ষ টাকা অবসরকালীন ভাতা দেওয়া হবে। এককালীন দেওয়া হবে এই ভাতা। প্রত্যেক বছর ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হবে। সেই মতো এ বছর এই বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল।