ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ৯ নভেম্বর থেকে। চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রায় এক মাস জুড়ে এই কাজ তদারকি করার জন্য বুথ পর্যায়ের আধিকারিক নিয়োগের কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সিইও-র সঙ্গেও রাজ্য সরকারের আলোচনা হয়েছে। তারপরেই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘বুথ লেভেল অফিসার কাম ডেজিগনেটেড অফিসার’ নিয়োগ করার কাজ শুরু করেছে রাজ্য। এরাই নতুন ভোটারদের সংযোজন করা থেকে শুরু করে ভোটারদের ঠিকানা বদল ও মৃতদের ভোটার কার্ড বাতিল করার কাজ করবেন।
আগামী বছর রাজ্যে বড় নির্বাচন বলতে সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে আগামী বছরের এপ্রিল কিংবা মে মাসে। আর নতুন বছরে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে। তাই সেই কাজে গতি আনতে দ্রুততার সঙ্গে ‘বুথ লেভেল অফিসার কাম ডেজিগনেটেড অফিসার’ নিয়োগের কাজ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে মূলত রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের। তাই ‘বুথ লেভেল অফিসার কাম ডেজিগনেটেড অফিসার’ নিয়োগের নির্দেশনামাটি পাঠানো হয়েছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের।
এ ক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানিয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘লম্বা ছুটির পর স্কুল খুলল। সিলেবাস শেষ করার চাপ আছে। আর কয়েকদিন পরেই স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা, খাতা দেখা ও ফলপ্রকাশ করতে হবে। তার মধ্যেই যদি শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করতে হয়, তা হলে তো শিক্ষা ব্যবস্থাটাই অবহেলিত হবে। শিক্ষকদের এই কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’ তবে তৃণমূল সমর্থিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র আবার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের সে ক্ষেত্রে কাজ করতে বলা হচ্ছে। সরকার তাদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে অবগত। তাই আমাদের মনে হয় সবদিক সামাল দিয়েই শিক্ষকদের দায়িত্ব বন্টন করা হবে।’’