স্কুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। —নিজস্ব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে নজির গড়েছেন। কিন্তু শিক্ষা সংসদের সভানেত্রীর মুখে কেন রুমানা সুলতানার ধর্মীয় পরিচয়, তা নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে। তার মধ্যেই এ বার পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠল। রুমানা প্রথম হলেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে শিক্ষিকারা তাঁদের কম নম্বর দিয়েছেন বলে এ বার অভিযোগ করলেন তাঁরই সহপাঠীরা। তার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভে তেতে উঠল কান্দির রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্বর।
শুক্রবার সকালে বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকরা। অভিযোগ করেন, কলা বিভাগের ছাত্রীদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই শূন্য দেওয়া হয়েছে। আবার পরীক্ষা ভাল দিলেও, কম নম্বর দেওয়া হয়েছে অনেককেই। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে কম নম্বর দিয়েছেন শিক্ষিকারা। তাতে আগামী দিনে কলেজে অনার্স নিয়ে ভর্তি হতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাঁদের।
এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে স্কুলের ভিতরে পর্যন্ত ঢুকে পড়েন অভিভাবকরা। সকলে মিলে প্রধান শিক্ষিকাকে তাঁর ঘরের সামনে ঘেরাও করেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধু মাত্র কলা বিভাগের ছাত্রীদেরই কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেল কেন এখনও মেলেনি, তা নিয়েও প্রধান শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
সাইকেল না পাওয়ার কথা মেনে নিলেও, নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের যুক্তি, কারও যদি মনে হয় নম্বর কম দেওয়া হয়েছে, তাহলে স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন জানাতেই পারেন পড়ুয়ারা। সঠিক পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হলেই বোঝা যাবে।
উল্লেখ্য, অতিমারির জেরে এ বছর লিখিত পরীক্ষা নিতে পারেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ফলে একাদশ শ্রেণির প্রাপ্ত নম্বর এবং বিদ্যালয়ের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট নন রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া রুমানা প্রথম হয়েছেন। এর আগেও এই স্কুল থেকে অনেক কৃতী ছাত্রী বেরিয়েছেন। তবে কোনও ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয় ঘিরে এমন কাটাছেঁড়া এর আগে দেখা যায়নি।