তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় এ বার হরিয়ানার সংগঠনের দায়িত্বে। নিজস্ব চিত্র।
গোয়ার পর হরিয়ানা। মহুয়া মৈত্রের পর সুখেন্দুশেখর রায়। গোয়ার মতো এ বার হরিয়ানাতেও সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সেই রাজ্যের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল সুখেন্দুশেখর রায়কে। তিনি ২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য। বর্তমানে দলের রাজ্যসভার উপদলনেতাও। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত মে মাসে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে অন্য রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর কাজে মন দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই কাজে লেগেছেন। ওই তালিকায় ত্রিপুরা, অসম, গোয়া, মেঘালয়ের সঙ্গে রয়েছে হরিয়ানাও। বুধবার দিল্লিতে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক তনওয়ার তৃণমূলে যোগদান করেনমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। অশোক হরিয়ানার নেতা। আর কেন্দ্রের বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা হওয়ার পরসেখানে কৃষক আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে কৃষকদের স্বার্থে মমতার আন্দোলনকে ওই রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে চায় তৃণমূল। সেই ভাবনা থেকেই অশোককে দলে নেওয়া হয়েছে।এ বার তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল রাজ্যসভার উপদলনেতার মতো হেভিওয়েট একজনকে।
রণনীতি অনুযায়ী এর আগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পাঠানো হয়েছে গোয়ায় সংগঠন বাড়ানোর কাজে। সেখানে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেরিওকে সহায়তা করতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। আর এ বার সুখেন্দুশেখরকে দেওয়া হল হরিয়ানার দায়িত্ব। হরিয়ানার রাজনীতিতে অতি পরিচিত নাম অশোকের। কংগ্রেস নেতা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন সেখানে। এ বার তাঁকে সহযোগিতা করতেই পাঠানো হল সুখেন্দুশেখরকে। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করেছেন সুখেন্দু। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।