২০২২ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা হাই কোর্টে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২০২২ সালের টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগে মামলা দায়ের কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের দ্বারস্থ মৌসোনা মিত্র-সহ ৫০০ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, ২০২২ সালের টেটে ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। ওই পরীক্ষার কয়েকটি প্রশ্ন ভুলও ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর মন্তব্য, প্রশ্ন ভুল নিয়ে কোনও স্থায়ী সমাধান বার করতে হবে পর্ষদকে। তারা কী পদক্ষেপ করবে, পরবর্তী শুনানিতে তা আদালতকে জানাতে হবে। নয়তো আদালতই নীতি নির্ধারণ করবে। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আবেদনকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য সরকার নিয়োগ নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধির জন্য প্রশ্ন ভুল করে। এর আগে ২০১৪ সাল, ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল করা হয়েছিল। ২০২২ সালের টেটেও তা-ই করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রশ্ন ভুল হলে কোন ক্ষেত্রে কাদের নম্বর দেওয়া হবে, কাদের দেওয়া হবে না, সেই নিয়ে পর্ষদকে নীতি নির্ধারণ করতে হবে। তারা না পারলে আদালতই সেই নীতি নির্ধারণ করবে।
২০২৩ সালেও কলকাতা হাই কোর্টে এই নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তখন অভিযোগ ছিল, ২০২২ সালের টেটে সাতটি প্রশ্নে ভুল ছিল। শুক্লা ভট্টাচার্য-সহ কয়েক জন পরীক্ষার্থী সেই আবেদন করেছিলেন। শিক্ষা শিবিরের একাংশের আশঙ্কা ছিল, হাই কোর্ট যদি এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেয় এবং পর্ষদ সাতটি প্রশ্ন ভুল থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়, তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে ওই সাতটি প্রশ্নের উত্তর যে সব পরীক্ষার্থী দিয়েছেন, তাঁরা ভুল উত্তর দিলেও পুরো নম্বর দিতে হবে পর্ষদকে। তাতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বাড়তে পারে। মঙ্গলবার এই নিয়ে আবার মামলা দায়ের হল হাই কোর্টে।